গাইবান্ধা: গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে বান্ধবীর বাড়িতে বেড়াতে এসে এক কিশোরীকে গণধর্ষণের অভিযোগে থানায় মামলা হয়েছে। এ ঘটনায় দু’জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
শনিবার (১৪ নভেম্বর) দিনগত রাতে পাঁচজনকে আসামি করে ওই কিশোরী গোবিন্দগঞ্জ থানায় মামলাটি দায়ের করেন।
আটকরা হলেন, নির্যাতনের শিকার কিশোরীর বান্ধবী গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার শাখাহার ইউনিয়নের দিঘিরহাট চক মানিকপুর গ্রামের লুৎফর রহমানের মেয়ে আদুরী (১৭) ও জেলার পলাশবাড়ী উপজেলার বাসুদেবপুর (ভগবানপুর) গ্রামের আব্দুল কমির মিয়ার ছেলে সোহেল মিয়া (৩৮)।
শনিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে গোবিন্দগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি-তদন্ত) আফজাল হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করে বাংলানিউজকে জানান, ঢাকার নারায়ণগঞ্জে ভাড়া বাসায় থেকে গার্মেন্টসে কাজ করেন নির্যাতিতা কিশোরী ও আদূরী। উভয়ের মধ্যে বন্ধুত্বের সম্পর্ক গড়ে ওঠায় গত ২৭ অক্টোবর আদুরীর সঙ্গে গোবিন্দগঞ্জে বেড়াতে আসেন ওই কিশোরী। সেখানে কয়েক দিন থাকার পর আদুরীর দুলাভাই সোহেল মিয়ার সঙ্গে ওই কিশোরীর সখ্যতা গড়ে ওঠে।
শুক্রবার (১৩ নভেম্বর) সকালে সোহেল কিশোরীকে ফুসলিয়ে মোটরসাইকেলে করে ঘুরতে নিয়ে যান। দিনভর বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে রাতে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে সোহেলসহ অজ্ঞাত আরও ৪-৫ জন ওই কিশোরীকে ধর্ষণ করেন। পরে গভীর রাতে তাকে বালুয়াবাজার বাংলালিংক টাওয়ারের সামনে ফেলে রেখে চলে যান সোহেল। স্থানীয়দের কাছে খবর পেয়ে পুলিশ ওই কিশোরীকে উদ্ধার করে।
এ ঘটনায় মামলা দায়েরের পর শনিবার দিনগত রাত ১১টার দিকে মূল অভিযুক্ত সোহেলকে গ্রেফতার করা হয়। এর আগে গ্রেফতার করা হয় বান্ধবী আদুরীকে।
শনিবার বিকেলে গাইবান্ধা সদর হাসপাতালে নির্যাতিতা কিশোরীর শারীরিক পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। অভিযুক্ত অন্যান্য আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে বলে জানান ওসি আফজাল হোসেন।
বাংলাদেশ সময়: ০৫০৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৫, ২০২০
এমআরএ