পাবনা (ঈশ্বরদী): রেলপথ প্রতিষ্ঠার ১৫৮ বছরে পা রাখলো বাংলাদেশ রেলওয়ে। মুজিববর্ষে এই দিনটিকে স্মরণীয় করে রাখতে প্রথম রেলপথ দিবস ঘোষণা করে আনন্দ ট্রলি ভ্রমণ করেছে পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ে জোনের পাকশি বিভাগীয় রেলওয়ের স্ব স্ব দপ্তরের কর্মকর্তারা।
রোববার (১৫ নভেম্বর) সকাল পৌনে ১১টার দিকে পাকশি বিভাগীয় দপ্তরের আয়োজনে ঈশ্বরদী-খুলনা রুটের দর্শনা রেলওয়ে স্টেশনে ট্রলি ভ্রমণের উদ্বোধন করা হয়। পাকশি বিভাগীয় রেলওয়ের ব্যবস্থাপক (ডিআরএম) মোহাম্মদ শাহীদুল ইসলাম এর উদ্বোধন করেন। পরে চুয়াডাঙ্গার দর্শনা রেলওয়ে স্টেশন থেকে কুষ্টিয়ার জগতি পর্যন্ত মোটর ট্রলি শোভাযাত্রা নিয়ে বের হয় রেলওয়ের স্ব স্ব দপ্তরের কর্মকর্তারা।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন পাকশি বিভাগীয় পরিবহন কর্মকর্তা মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন, পাকশি বিভাগীয় প্রকৌশলী-১ বীরবল মণ্ডল, পাকশি বিভাগীয় যান্ত্রিক প্রকৌশলী, (ক্যারেজ) মমতাজুল ইসলাম, আশিষ কুমার মণ্ডল (লোকো) পাকশি বিভাগীয় সংকেত ও টেলি যোগাযোগ প্রকৌশলী রুবাইয়াৎ শরীফ প্রান্ত, পাকশি বিভাগীয় বৈদ্যুতিক প্রকৌশলী রিফাত শাকিল, রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর কমান্ডেন্ট রেজাউন-উর-রহমানসহ রেলওয়ের কর্মচারীরা।
ডিআরএম শাহীদুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, বাংলাদেশে রেলপথ প্রতিষ্ঠার পর ১৫৮ বছরে পা রাখলো। আগে কখনো দিবসটি সরকারিভাবে ঘোষণা করা হয়নি। মুজিববর্ষে এই প্রথম ‘জাতীয় রেলপথ’ দিবসটি ঘোষণা করেছে সরকার। ১৮৬২ সালের ১৫ নভেম্বর দর্শন-জগতি সেকশনে বাংলাদশের ইতিহাসে প্রথম রেল যোগাযোগ চালু হয়েছিল।
শাহীদুল ইসলাম আরও বলেন, রেল একটি ঐতিহ্য, সংস্কৃতি। দেশে যোগাযোগ ও আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে রেল গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে। মুক্তিযুদ্ধের সময় রেল অনেক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। স্বাধীনতার পর সেই ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে শুরু করেছিল জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সরকারের আমলে। পরে তা থমকে যায়। বর্তমান রেলবান্ধব সরকার বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সব বাধা পেরিয়ে রেলে এখন দৃশ্যমান উন্নয়ন দেখা যাচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৪৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৫, ২০২০
এসআরএস