ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

মাস্ক ব্যবহারে অনীহা গণপরিবহন চালক-হেলপার ও যাত্রীদের

তামিম মজিদ, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৫৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৫, ২০২০
মাস্ক ব্যবহারে অনীহা গণপরিবহন চালক-হেলপার ও যাত্রীদের বাসের হেলপারের মুখে মাস্ক নেই। ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) মহামারির দ্বিতীয় ঢেউ শুরু হলেও সচেতন নন রাজধানীর গণপরিবহনের চালক, হেলপার ও যাত্রীরা। প্রায় অর্ধেকেরও বেশি যাত্রী মাস্ক ব্যবহার করছেন না।

ফলে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ প্রাণঘাতি রুপে দেখা দিতে বলে আশঙ্কা সংশ্লিষ্টদের।

রোববার (১৫ নভেম্বর) রাজধানীর গণপরিবহন ঘুরে যাত্রীদের এই চিত্র দেখা যায়।

সরেজমিনে দেখা গেছে, গণপরিবহনে অনেক যাত্রীই মাস্ক ব্যবহার করছেন না। আবার কারো মাস্ক থাকলেও তা মুখের নিচে ঝুলিয়ে রেখেছেন। আবার একই অবস্থা চালক ও সহকারীদের। অনেক চালক ও সহকারীর মুখে মাস্ক নেই। মূলত এটা ব্যবহারে অনীহা যাত্রীদের।

যদিও দেশের সব গণপরিবহনে মাস্ক ব্যবহার নিশ্চিত করার নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ পরিবহন মালিক সমিতি। কিন্তু  সেই নির্দেশনা বাস্তবায়নের চিত্র দেখা যায়নি কোনো গণপরিবহনে। পরিবহনের চালক ও সহকারীরা এ ব্যাপারে অনেকটা উদাসীন থাকায় এ নির্দেশনা বাস্তবায়ন হচ্ছে না বলে অভিযোগ সচেতন যাত্রীদের। বাসের হেলপারের মুখে মাস্ক নেই।  ছবি: বাংলানিউজতথ্যমতে, গত শনিবার (১৪ নভেম্বর) সমিতির আওতাধীন সব মালিক সংগঠনের কাছে পাঠানো চিঠিতে গণপরিবহনে মাস্ক ব্যবহার নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেন বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক খন্দকার এনায়েত উল্লাহ।

চিঠিতে খন্দকার এনায়েত উল্লাহ বলেন, আপনারা নিশ্চয়ই অবগত আছেন, আমাদের দেশে করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব এখনো স্বাভাবিক হয়নি। চলমান আছে। আসন্ন শীত মৌসুমে করোনার সংক্রমণ আরও বাড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। করোনার সংক্রমণ রোধে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সব জেলা, শাখা ও ইউনিটে চলাচলকারী সব গাড়ির মালিক এবং কর্মরত শ্রমিকদের মাস্ক ব্যবহার করা একান্ত প্রয়োজন। কারণ একমাত্র মাস্ক ব্যবহারের মাধ্যমেই এই ভাইরাস থেকে সুরক্ষা পাওয়া সম্ভব। তাই করোনার সংক্রমণ রোধকল্পে সমিতিভুক্ত সব গাড়ির মালিক ও কর্মরত শ্রমিকদের মাস্ক ব্যবহার নিশ্চিত করার প্রয়োজনীয় নির্দেশ দিতে বিশেষভাবে অনুরোধ জানাচ্ছি।

সরজমিনে তুরাগ, অনাবিল, উইনার, অছিম, বিহঙ্গ, ভিআইপি ও প্রচেষ্টা পরিবহন ঘুরে দেখা যায়, নেই যাত্রীদের মুখে মাস্ক। হ্যান্ড স্যানিটাইজ ও স্প্রের ব্যবহার উঠে গেছে অনেক আগে থেকেই। সরকার স্বাস্থ্যবিধি মেনে গণপরিবহন চলার যে অনুমতি দিয়েছিল, ন্যূনতমও স্বাস্থ্যবিধি মানা হচ্ছে না এসব গণপরিবহনে। শুধু এই গণপরিবহনগুলো নয়, সব গণপরিবহনের একই চিত্র।

মুখে মাস্ক নেই কেন এমন প্রশ্নের জবাবে সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন নামের এক যাত্রীর সোজাসাপটা উত্তর, মাস্ক পরে কী হবে, যে পরিমাণ ঘনবসতি, কোনো শারীরিক দূরত্ব মানার উপায় নেই। করোনা হওয়ার হলে এমনিতেই হবে।

তুরাগ পরিবহনের সহকারী সিয়াম হোসেনের মুখেও মাস্ক নেই। সেটা কেন ব্যবহার করছেন না কেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, সারাদিন মাস্ক পরে থাকাটা অস্বস্তি লাগে। তাই তিনি কিছু সময়ের জন্য খুলে রেখেছেন।

সচেতন যাত্রী ইমরান আহমেদ বলেন, সচেতন না হলে করোনার প্রকোপ বাড়বে। তাই চালক-যাত্রী সবাইকে সচেতন হয়ে মাস্ক ব্যবহারের বিকল্প নেই।

স্মার্ট উইনার পরিবহনের চালক চান্দ মিয়া বলেন, যাত্রীরা এখন আর সেটা মানছেন না। বললেও উল্টো ক্ষ্যাপে যান অনেক যাত্রী।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৪৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৫, ২০২০
টিএম/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।