ঢাকা: স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও দর্শন ধারণ করে সংবিধান যেনো মানুষের আশা-আকাঙ্খার প্রতিফলন ঘটাতে হবে।
রোববার (১৫ নভেম্বর) জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে জাতীয় সংসদের বিশেষ অধিবেশনে সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে দেওয়া বক্তব্যে তিনি এ আহ্বান জানান।
স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, ১৯৭২ সালের ৪ নভেম্বর বাংলাদেশের মানুষের জন্য একটি গৌরবোজ্জ্বল অবিস্মরণীয় দিন। এদিন গণপরিষদ বাংলাদেশের জন্য একটি সংবিধান উপহার দিয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধু নিজেই বলেছিলেন, দুনিয়ার ইতিহাসে দেখা যায়নি কোনো দেশ এত অল্প সময়ে মাত্র ১০ মাসে শাসনতন্ত্র দিতে পেরেছে। বঙ্গবন্ধুর জীবন আদর্শের পূর্ণাঙ্গ প্রতিফলন ঘটেছে ৭২ এর সংবিধানে। দরিদ্র, বঞ্চিত, শোষিত মানুষের মুখে হাসি ফোটানোই ছিল বঙ্গবন্ধুর মূল উদ্দেশ্যে। এজন্য তিনি সারা জীবন সংগ্রাম করে গেছেন। জোট নিরপেক্ষ আন্দোলনের সম্মেলনে বঙ্গবন্ধুর বক্তব্যে আমরা তার প্রতিফল শুনতে পাই।
স্পিকার বলেন, দীর্ঘ ২৪ বছরে এ দেশের মানুষের আন্দোলন-সংগ্রামের দীর্ঘ ইতিহাসের ভিত্তির ওপর এ সংবিধান রচিত। তাই বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, এ শাসনতন্ত্র শহীদের রক্তে লেখা। আমাদের সংবিধানের মূলনীতি গণতন্ত্র, সমাজতন্ত্র, বাঙালি জাতীয়বাদ, ধর্মনিরপেক্ষতা অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছিল। বঙ্গবন্ধু আগেই বলেছিলেন এ চারটি মূলনীতির ভিত্তিতে সংবিধান রচিত হতে হবে। কারণ জনগণের জন্য জনগণ আন্দোলন-সংগ্রাম করেছেন। বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন সমাজতন্ত্রের অর্থই হলো শোষণ, বঞ্চনা দুর হবে, ধনী দরিদ্রের বৈষম্য দুর হবে, সমতা স্থাপিত হবে। ধর্মনিরপেক্ষতা মানে হিন্দু, মুসলিমসহ সব ধর্মের মানুষ নিজ নিজ ধর্ম পালন করবে রাষ্ট্র বাধা দেবে না। বঙ্গবন্ধুর দর্শন ধারণ করে এ সংবিধান যেনো মানুষের আশা-আকাঙ্খার প্রতিফলন ঘটাতে সে দিকে আমাদের লক্ষ্য রাখতে হবে। আসুন আমরা বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ক্ষুধা, দারিদ্র্যমুক্ত, উন্নত, সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তুলতে কাজ করি।
বাংলাদেশ সময়: ২০৫৪ নভেম্বর ১৫, ২০২০
এসকে/আরআইএস