ঢাকা: জাতীয় সংসদের সাবেক ডেপুটি স্পিকার, আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলার অন্যতম অভিযুক্ত, বীর মুক্তিযোদ্ধা কর্নেল (অব.) শওকত আলীর মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন সরকারের বিভিন্ন দপ্তরের মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্ট আরও অনেকে।
সোমবার (১৬ নভেম্বর) তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন, কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক, খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার, বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি, শিল্পমন্ত্রী নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন, ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী, প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রী ইমরান আহমেদ, স্থানীয় সরকারমন্ত্রী তাজুল ইসলাম, আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী ইয়াফেস ওসমান, স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান পৃথক পৃথক শোকবার্তায় মরহুমের বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করেন এবং তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি সমবেদনা জানান।
এক শোক বার্তায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুল মোমেন বলেন, অত্যন্ত সজ্জন এবং দৃঢ় চিত্তের অধিকারী শওকত আলীর সঙ্গে আমার ঘনিষ্ঠতা ছিল বহুদিনের। মহান মুক্তিযুদ্ধ এবং সংসদীয় গণতন্ত্র শক্তিশালীকরণে শওকত আলীর অবদান বাঙালি জাতি চিরকাল স্মরণ রাখবে।
অর্থমন্ত্রী মুস্তফা কামাল এক শোক বার্তায় ব্যক্তিগতভাবে ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের সর্বস্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পক্ষ থেকে মরহুমের পরিবার-পরিজন, সন্তানসহ সবাইকে গভীর সমবেদনা জানান।
মন্ত্রীরা শোক বার্তায় বলেন, বঙ্গবন্ধুর বিশ্বস্ত সহচর কর্নেল (অব.) শওকত আলী একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধে অসামান্য ভূমিকা রেখেছিলেন। আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলায় বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে ৩৫ জন আসামির মধ্যে কর্নেল (অব.) শওকত আলীকে ২৬ নম্বর আসামি করা হয়েছিল। অসামান্য রাজনৈতিক প্রজ্ঞা ও মেধায় দেশে সংসদীয় গণতন্ত্র শক্তিশালী করতেও কর্নেল (অব.) শওকত আলী কার্যকর অবদান রাখেন। এছাড়া মহান মুক্তিযুদ্ধে তার অবদান জাতির কাছে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে।
এছাড়া নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী শরিফ আহমেদ, সমবায় প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য, শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার, তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান, মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা, সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ, শ্রম প্রতিমন্ত্রী মুন্নুজান সুফিয়ানসহ জাতীয় সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদ এবং জাতীয় পার্টি (জাপা) চেয়ারম্যান জি এম কাদের মরহুমের বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করেন ও শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি সমবেদনা জানান।
তারা বলেন, কর্নেল (অব.) শওকত আলীর মতো একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা, অভিজ্ঞ রাজনীতিবিদ ও খাটি দেশপ্রেমিকের মৃত্যুতে দেশ ও জাতির অপূরণীয় ক্ষতি হলো। ডেপুটি স্পিকার হিসেবে দক্ষতার পরিচয় দিয়েছেন কর্নেল (অব.) শওকত আলী। তার লেখা ‘সত্য মামলা আগরতলা’, ‘কারাগারের ডায়েরী’, ‘বাংলাদেশের মুক্তি সংগ্রাম ও আমার কিছু কথা’ এবং ‘গণ পরিষদ থেকে নবম সংসদ’ তথ্যবহুল বইগুলো ইতিহাসের স্বাক্ষী হয়ে থাকবে। বর্ষীয়ান এ রাজনীতিবিদের মৃত্যুতে যে শূন্যতার সৃষ্টি হয়েছে, তা সহজে পূরণ হওয়ার নয়।
উল্লেখ্য, কর্নেল (অব.) শওকত আলী সোমবার (১৬ নভেম্বর) সকালে রাজধানী ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজেউন)।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৬, ২০২০
জিসিজি/এসএমএকে/ টিআর/এমআইএস/এইচএমএস