ঢাকা: বেতন বৈষম্য নিরসন, মহার্ঘ্য ভাতা দেওয়া, বাজার মূল্যের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে মজুরি নির্ধারণ, শ্রমিক কর্মচারীদের জন্য রেশনিং ব্যবস্থা চালুসহ নয় দফা দাবিতে রাজধানীতে মানববন্ধন করেছে শ্রমিক-কর্মচারী ঐক্য পরিষদ (স্কপ)।
সোমবার (১৬ নভেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বক্তারা বলেন, করোনাকালে সবচয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে শ্রমিক কর্মচারী। তারা চাকরি হারিয়েছে, মজুরি কমেছে অথচ সরকারি প্রণোদনা শ্রমিকরা পাইনি। ২০১৫ সালের ডিসেম্বরে সর্বশেষ রাষ্ট্রীয় ১৩ লাখ কর্মচারীদের সর্বনিম্ন বেতন ৮ হাজার ২৫০ টাকা এবং সর্বোচ্চ ৭৮ হাজার টাকা নির্ধারণ করে পে-স্কেল ঘোষণা করা হয়। এ পে-স্কেলে প্রতিবছর ৫ শতাংশ হারে বেতন বেড়েছে। মুদ্রাস্ফিতি ছিলো প্রায় সাড়ে ৫ শতাংশ থেকে ৬ শতাংশের বেশি। নিম্ন আয়ের শ্রমজীবী মানুষের ব্যবহার্য্য পণ্যের দাম বেড়েছে কয়েকগুণ। বিশষ করে আলু, পেঁয়াজ, শাক-সবজির দাম বেড়েছে দুই গুণের বেশি। করোনাকালে স্বাস্থ্য ঝুঁকি বিবেচনায় প্রতিদিনের ব্যয় বেড়েছে, অন্যদিকে পণ্যের দাম বাড়ায় প্রকৃত আয় কমেছে।
বক্তারা আরও বলেন, ৩০ লাখ শহীদের বিনিময়ে পাওয়া স্বাধীন দেশে বৈষম্য থাকার কথা না। অথচ সরকারি বেতন স্কেলে সর্বনিম্ন ও সর্বোচ্চ বৈষম্য প্রায় ১০ গুণ, ব্যক্তি মালিকানা প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীদের অবস্থা আরও শোচনীয়। মজুরি বাড়ানোর দাবিতে সরকারি কর্মচারীদের চলমান আন্দোলনে সমর্থন জানানোর পাশাপাশি শ্রমিক কর্মচারীদের জন্য রেশনিং ব্যবস্থা চালু, বেতন বৈষম্য কমানো ও মহার্ঘ্য ভাতা দেওয়া ও পণ্যের ঊর্ধ্বগতি রোধ করার দাবি জানান তারা।
মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন স্কপের সমন্বয়কারী সহিদুল্লাহ চৌধুরী। বক্তব্য দেন সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্টের সভাপতি রাজেকুজ্জামান রতন, শ্রমিক নেতা আনোয়ার হোসেন, সাইফুজ্জামান বাদশা, কামরুল আহসান, চৌধুরী আশিকুল, আহসান হাবিব বুলবুল প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৬, ২০২০
ইএআর/ওএইচ/