মাগুরা: যৌতুক না পেয়ে মাগুরা সদর উপজেলার হাজীপুর ইউনিয়নের ফুলবাড়ী গ্রামে এক গৃহবধূকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে স্বামী ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য স্বামী ও শ্বশুরকে আটক করেছে পুলিশ।
সোমবার (১৬ নভেম্বর) বিকেলে মাগুরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জয়নাল আবেদীন বাংলানিউজকে বিষয়টি জানান।
নিহত গৃহবধূর মামা এনামুল হক বাংলানিউজকে জানান, প্রায় ১৫ মাস আগে ফুলবাড়ী গ্রামের নূরালী মোল্যার (৫৮) ছেলে মহব্বত আলী মোল্যার (২৬) সঙ্গে তার ভাগ্নি আছমা খাতুনের (২২) বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই স্বামী মহব্বত আলী আছমাকে যৌতুকের জন্য শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করতে থাকেন। পাঁচ মাস আগে সুদে তিন লাখ টাকা যোগার করে মেয়ের জামাই আলীর হাতে তুলে দেন আসমার বাবা। তাতেও নির্যাতন বন্ধ হয়নি স্বামী আলীর। আরও টাকার জন্য নির্যাতন চালান তারা। তিন মাস আগে আসমার কোল জুড়ে একটি ছেলে সন্তানের জন্ম হয়। এই অবুঝ শিশুটি যৌতুকের জন্য তার মাকে হারালো বলে কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি।
নিহতের ভাবী রিনা বেগম জানান, গত ১৩ নভেম্বর আলীর স্বজনরা আছমার বাড়িতে মোবাইলফোন করে তাদের মেয়ে (আছমা) অসুস্থ বলে জানার। অসুস্থতার খবর পেয়ে আছমার মা ছায়রা খাতুন মেয়ের বাড়িতে ছুটে যান। পরে তাকে উদ্ধার করে মাগুরা ২৫০ শয্যা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রোববার (১৫ নভেম্বর) দিনগত রাত পৌনে ১২টার দিকে আছমার মৃত্যু হয়। এ ঘটনার দোষীদের শাস্তি দাবি করেন তিনি।
এ বিষয়ে ওসি জয়নাল আবেদীন জানান, ভুক্তভোগীদের মৌখিক অভিযোগের ভিত্তিতে রোববার রাতেই স্বামী আলী ও তার বাবা নুর আলীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য নিহতের মরদেহ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে মামলার প্রস্তুতি চলছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৬, ২০২০
এসআরএস