ঢাকা: দেশের ৬১টি জেলার আরও ৪৮২টি পৌর/ইউনিয়ন ভূমি অফিসে খাজনা আদায়ের ব্যবস্থা সফটওয়্যারের আওতায় আনা হয়েছে। এ লক্ষ্যে অনলাইনভিত্তিক ভূমি উন্নয়ন কর ব্যবস্থাপনা সফটওয়্যার পাইলটিং (দ্বিতীয় পর্যায়) কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়েছে।
সোমবার (১৬ নভেম্বর) ‘হাতের মুঠোয় ভূমিসেবা’ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে ভূমি মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনকক্ষে ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে অনলাইনভিত্তিক ভূমি উন্নয়ন কর ব্যবস্থাপনা সফটওয়্যার পাইলটিং (দ্বিতীয় পর্যায়) কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী।
ভূমিমন্ত্রী বলেন, দ্বিতীয় পর্যায়ে পার্বত্য চট্টগ্রাম ব্যতীত দেশের ৬১টি জেলার ৪৮২টি উপজেলা/সার্কেল/মেট্রো থানা ভূমি অফিস থেকে একটি করে মোট ৪৮২টি পৌর/ইউনিয়ন ভূমি অফিসের এক বা একাধিক মৌজা ভূমি উন্নয়ন কর ব্যবস্থাপনা সফটওয়্যার পাইলটিং কার্যক্রমের আওতায় আনা হবে। ভূমি মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন ভূমি সংস্কার বোর্ড এ কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে। দ্বিতীয় পর্যায়ের কাজ ডিসেম্বরে শুরু করার কথা থাকলেও দক্ষতা বাড়ানোর ফলে এক মাস আগেই শুরু করা হয়েছে।
একইসঙ্গে সরকারি জমি অবৈধ দখলকে দণ্ডনীয় ফৌজদারি অপরাধ হিসেবে গণ্য করে শিগগিরই আইন সংশোধন করে যুগোপযোগী করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, ভূমি মন্ত্রণালয়ের নিয়োগ বিধির কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) মাধ্যমে নন-ক্যাডার পদমর্যাদার কর্মকর্তা নিয়োগ দেওয়া হবে যেন মাঠ পর্যায়ের কাজে গতিশীলতা আসে। আমরা ভূমি সেক্টরে টেকসই সিস্টেম এবং সক্ষমতা উন্নয়নের ওপর জোর দিচ্ছি, যাতে ভূমি খাতের উন্নয়ন দৃঢ় ভিত্তির ওপর দাঁড়ায়। জনগণ যেন ভূমি অফিসে না গিয়ে বেশির ভাগ সেবা গ্রহণ করতে পারেন আমরা সে উদ্দেশ্যেই কাজ করে যাচ্ছি।
এ সময় ভূমিমন্ত্রী জমির নামজারি ও নিবন্ধন সমন্বয় কার্যক্রমের অনুমোদন দেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ভূমি সচিব মো. মাকছুদুর রহমান পাটওয়ারী। তিনি জানান, উপমহাদেশে কালেক্টরেট ব্যবস্থার গোড়াপত্তনের প্রায় ২৪৭ বছরের পর ভূমি উন্নয়ন কর তথা জমির খাজনা গ্রহণের সিস্টেম বদলাচ্ছে ভূমিমন্ত্রীর নেতৃত্বে।
ভূমি সংস্কার বোর্ডের চেয়ারম্যান মো. ইয়াকুব আলী পাটোয়ারীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে আরও বক্তব্য রাখেন- চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার এ বি এম আজাদ এনডিসি, জামালপুরের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ এনামুল হক ও গোপালগঞ্জের জেলা প্রশাসক শাহিদা সুলতানা। এ সময় চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ভূমি উন্নয়ন কর ব্যবস্থাপনা সফটওয়্যারের প্রথম পর্যায়ের পাইলটিং কার্যক্রম পরিচালনায় তার অভিজ্ঞতার কথা বর্ণনা করেন।
এছাড়া পার্বত্য চট্টগ্রাম ব্যতীত ৬১ জেলার জেলা প্রশাসকসহ মাঠ পর্যায়ে কর্মরত জেলা প্রশাসন ও উপজেলা ভূমি অফিসের কর্মকর্তারা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অংশ নেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৪৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৬, ২০২০
জিসিজি/আরবি