ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

সাংবাদিকের বিরুদ্ধে আইসিটি মামলা প্রত্যাহারের দাবি

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০০০ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৬, ২০২০
সাংবাদিকের বিরুদ্ধে আইসিটি মামলা প্রত্যাহারের দাবি

রাজশাহী: জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি সাইফুল ইসলাম ও রাজশাহীর স্থানীয় দৈনিক সোনালী সংবাদের সম্পাদক মো. লিয়াকত আলীসহ আট সাংবাদিকের বিরুদ্ধে তথ্যপ্রযুক্তি আইনে দায়ের করা মামলার অভিযোগপত্র দাখিলের ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সাংবাদিকরা। তারা অবিলম্বে মামলাটি প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন।

এ দাবিতে সোমবার (১৬ নভেম্বর) সকালে মানববন্ধন ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

রাজশাহী সাংবাদিক ইউনিয়নের (আরইউজে) ব্যানারে অনুষ্ঠিত এ কর্মসূচিতে বিভিন্ন সাংবাদিক সংগঠন, রাজনৈতিক, সামাজিক ও পেশাজীবী সংগঠনের নেতারা একাত্মতা ঘোষণা করে বক্তব্য দেন।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) কম্পিউটার সায়েন্স বিভাগের অধ্যাপক কাজী জাহিদ ২০১৫ সালে মামলাটি দায়ের করেছিলেন। গত সেপ্টেম্বরে মহানগরীর মতিহার থানা পুলিশ মামলাটির অভিযোগপত্র দাখিল করেছে। এরপর দৈনিক যুগান্তরের রাবি প্রতিনিধি মানিক রাইয়ান বাপ্পীকে তার গ্রামের বাড়ি থেকে এরই মধ্যে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। বর্তমানে তিনি এ মামলায় কারাগারে রয়েছেন।

এ ঘটনার প্রতিবাদে সকালে রাজশাহী মহানগরীর সাহেব বাজার জিরোপয়েন্টে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়।

এতে সভাপতিত্ব করেন আরইউজে সভাপতি কাজী শাহেদ। মানববন্ধন পরিচালনায় করেন আরইউজের সাধারণ সম্পাদক তানজিমুল হক।

মানববন্ধনে বক্তব্য দেন জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদ, সামাজিক সংগঠন রাজশাহী রক্ষা সংগ্রাম পরিষদের সাধারণ সম্পাদক জামাত খান।
মানববন্ধনে আরইউজের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি প্রবীণ সাংবাদিক মুস্তাফিজুর রহমান খান আলম বলেন, সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করার উপযুক্ত স্থান বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিল। কিন্তু কাজী জাহিদ মামলা করেছেন থানায়। আমরা এর প্রতিবাদ জানাই।

বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) সহ-সভাপতি মামুন-অর-রশিদ বলেন, রাবির যে শিক্ষক আইসিটি আইনে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন সেই শিক্ষকই আওয়ামী লীগ নেতা মোহাম্মদ নাসিমকে নিয়ে অপপ্রচারের জন্য এ আইনে গ্রেফতার হয়ে জেল খেটেছেন। তিনি নিজেই আইন মানেন না। আর তিনি সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে যে মামলা করেছেন তাতে পুলিশ প্রভাবিত হয়ে অভিযোগপত্র দিয়েছে। আমরা এর তীব্র প্রতিবাদ জানাই।

সমাবেশে আরইউজে সভাপতি কাজী শাহেদ বলেন, ‘সরকার বার বার সাংবাদিকদের আশ্বস্ত করেছে আইসিটি আইনে সাংবাদিকদের হয়রানি করা হবে না। কিন্তু বাস্তবতা তার উল্টো। একজন শিক্ষক আইসিটি আইনে শুধু সম্পাদকদের বিরুদ্ধেই মামলা করেননি, তিনি নিজের শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধেও মামলা করেছেন। তার মধ্যে যদি শিক্ষকসুলভ কোনো আচরণ থাকে, তাহলে তিনি আজই মামলা প্রত্যাহারের ঘোষণা দেবেন। ’

সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন রাজশাহী মেট্রোপলিটন প্রেসক্লাবের আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট মোমিনুল ইসলাম বাবু, রাবি রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি আরাফাত রহমান, রাজশাহী অ্যাডভোকেট বার সমিতির সাধারণ সম্পাদক পারভেজ তৌফিক জাহিদী, রাজশাহীর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী এন্তাজুল হক বাবু, মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক তৌফিক আলী ভাদু, রাজশাহী সংবাদপত্র কর্মী পরিষদের সভাপতি রেজাউল করিম রেজা, বাংলাদেশ রেশম শিল্প মালিক সমিতির সহ-সভাপতি নিলুফার ইয়াসমিন নিলা, ওয়েবের রাজশাহীর সভাপতি আনজুমান আরা লিপি, রাজশাহী বিসিক শিল্প মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক হাজী আবদুল মালেক, বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের রাজশাহীর সহ-সভাপতি সেলিনা বেগম, রাজশাহী কলেজ রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি বাবর মাহমুদ।

বাংলাদেশ সময়: ২০০০ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৬, ২০২০
এসএস/আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।