ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

কচুরিপানা থেকে তৈরি কাগজের বহুমাত্রিক সম্ভাবনা

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০১১ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৬, ২০২০
কচুরিপানা থেকে তৈরি কাগজের বহুমাত্রিক সম্ভাবনা কচুরিপানা থেকে তৈরি ক্রাফট পেপারে চিত্রকর্ম প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মধ্যে উপাচার্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ ফায়েক উজ্জামান

খুলনা: খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে (খুবি) সহজলভ্য জলজ আগাছা কচুরিপানা থেকে কারুশিল্পের কাগজ প্রস্তুত প্রকল্পের সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সোমবার (১৬ নভেম্বর) দুপুরে খুবির আচার্য জগদীশ চন্দ্র বসু একাডেমিক ভবনের জীব বিজ্ঞান স্কুলের ডিন অফিসের কনফারেন্স রুমে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন উপাচার্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ ফায়েক উজ্জামান।

তিনি বলেন, কচুরিপানা বাংলাদেশের নদী-নালা, খাল-বিলে সহজলভ্য। এটা সাধারণত আগাছা হিসেবে পরিচিত। এটি জন্মালে সে পুকুরে মাছ বা অন্য কিছুর চাষ বিঘ্নিত হয়। তাই এটা একটা ফেলনা বিষয় বা কৃষকের জন্য বোঝা। অথচ এ কচুরিপানা থেকে খুব সুন্দর ক্রাফট পেপার তৈরি করেছেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা। এ বিষয়ে যে প্রকল্প ছিল তা সাফল্যের সঙ্গে শেষ হয়েছে এবং সেখান থেকে আমরা দেখতে পেয়েছি কচুরিপানা থেকে তৈরিকৃত কাগজের বহুমাত্রিক সম্ভাবনা রয়েছে। বিশেষ করে গ্রামীণ কুটির শিল্পের জন্য কচুরিপানা থেকে তৈরি ক্রাফট পেপার একটি বহুমাত্রিক ব্যবহারের জন্য ভালো উপকরণ। তিনি এটাকে কুটির শিল্প পর্যায়ে নিয়ে যাওয়া এবং তৈরিকৃত বিভিন্ন উপকরণ দেশে ছাড়াও বিদেশে রপ্তানির সম্ভাবনা নিয়ে ভাবতে হবে।  

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. মোসাম্মাৎ হোসনে আরা ও জীব বিজ্ঞান স্কুলের ডিন প্রফেসর ড. মো. রায়হান আলী।

এতে সভাপতিত্ব করেন প্রকল্পের প্রিন্সিপাল ইনভেস্টিগেটর ফিশারিজ অ্যান্ড মেরিন রিসোর্স টেকনোলজি ডিসিপ্লিনের প্রফেসর ড. মো. নাজমুল আহসান। সঞ্চালনা করেন প্রকল্পের প্রিন্সিপাল কো-ইনভেস্টিগেটর ফরেস্ট্রি অ্যান্ড উড টেকনোলজি ডিসিপ্লিনের প্রফেসর ড. মো. নজরুল ইসলাম।  

অনুষ্ঠানে ওয়েবিনারে যোগ দেন ব্লু গোল্ড প্রজেক্টের টিম লিডার গাই জোনস ও নেদারল্যান্ডের ওয়াগেনিনজেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ডলফি ডেবরট।

এ সময় একটি ভিডিও ডকুমেন্টারির মাধ্যমে কচুরিপানা থেকে কারুশিল্পের কাগজ প্রস্তুত প্রণালী প্রদর্শন করা হয় এবং প্রস্তুতকৃত কাগজে ‘কালারস অব নেচার’ শীর্ষক একটি ভার্চ্যুয়াল আর্ট কম্পিটিশনের বিজয়ী পাঁচজন শিক্ষার্থীর চিত্রকর্ম প্রদর্শন ও তাদের মধ্যে সনদপত্র বিতরণ করা হয়। বিজয়ী পাঁচজন শিক্ষার্থীর নাম ক্রমানুসারে শেখ মোহাম্মদ সুমন, তুলি সাধু, আফরোজা আক্তার মুন্নি, জয় কুমার ভৌমিক ও আয়েশা সিদ্দিকা। ১৮ মাস মেয়াদী এ প্রকল্পটি সোমবার শেষ হয়।

বাংলাদেশ সময়: ২০০৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৬, ২০২০
এমআরএম/আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।