ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

‘মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচিহ্ন সরানোয় ম্লান হবে ভারতের অবদান’

শামীম খান, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০২৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৬, ২০২০
‘মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচিহ্ন সরানোয় ম্লান হবে ভারতের অবদান’

ঢাকা: ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের রাজধানী আগরতলা থেকে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচিহ্ন সরিয়ে নেওয়াকে মুক্তিযুদ্ধে ভারতের অবদানকে ম্লান করবে বলে মনে করছেন আওয়ামী লীগ ও এই দলটির নেতৃত্বাধীন ১৪ দলের নেতারা।

মহান মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশের অসংখ্য মানুষ ত্রিপুরায় গিয়ে আশ্রয় নিয়েছিলেন।

তখন ত্রিপুরা তথা ভারতের সরকার এবং সর্বস্তরের মানুষ সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয়।  

মুক্তিযুদ্ধে ভারতের সরকার ও জনগণের পাশাপাশি সে দেশের সেনাবাহিনীর বড় ভূমিকা ও অবদান রয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচিহ্ন সেই ঐতিহাসিক অবদান ও ভূমিকার স্বীকৃতি বহন করে বলে মনে করেন আওয়ামী লীগ ও ১৪ দলের নেতারা।

আগরতলার পোস্ট অফিস চৌমুহনী এলাকার গোল চত্বর থেকে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচিহ্ন সরিয়ে নেওয়া হয় রোববার (১৫ নভেম্বর)। শহরের প্রাণকেন্দ্র বলে পরিচিত ওই গোল চত্বরে স্থাপন করা হয়েছিল মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিবিজড়িত কামান ও ট্যাংক।  

মুক্তিযুদ্ধে ভারতীয় সেনাবাহিনীর ব্যবহৃত কামান ও পাকিস্তানি বাহিনীকে পরাজিত করে তাদের কাছ থেকে ছিনিয়ে আনা ট্যাংক।

জানতে চাওয়া হলে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য এবং মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক আমির হোসেন আমু বাংলানিউজকে বলেন, “এই স্মৃতিচিহ্ন ভরতের সরকারই স্থাপন করেছিলো। আসলে ৭১ সালে আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধে লাখ লাখ মানুষ ত্রিপুরায় আশ্রয় নিয়েছিলো। তারা আমাদের অনেক সহযোগিতা করেছিলেন। এই স্মৃতিচিহ্ন তারই সাক্ষ্য বহন করে। ”

ত্রিপুরার বর্তমান বিজেপি সরকার কেন এই স্মৃতিচিহ্ন সরিয়ে নিচ্ছে তা জানেন না উল্লেখ করে তিনি বলেন, “এর আগের সরকার এটা স্থাপন করেছিলো। এর সঙ্গে অনেক আবেগ জাড়িত আছে। এখনকার সরকার কেন এটা সরিয়ে নিচ্ছে জানি না। তবে এর মধ্য দিয়ে আমাদের মুক্তিযুদ্ধে ভারতের জনগণের যে অবদান, যে ভূমিকা তা অস্বীকার করা হবে। মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি, অবদান ম্লান হবে। ”

ওয়ার্কার্স পার্টি সভাপতি ও মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক রাশেদ খান মেনন বাংলানিউজকে বলেন, “আগতলা মুক্তিযুদ্ধের সময় আমাদের অনেক মানুষকে আশ্রয় দিয়েছিলো। তাদের জনসংখ্যার চেয়েও এই জনসংখ্যা বেশি ছিলো। ত্রিপুরার বামফ্রন্ট সরকার এই স্মৃতিচিহ্ন স্থাপন করেছিলো। এখন বিজেপি সরকার সেটা সরিয়ে নিচ্ছে, কেন নিচ্ছে জানি না। মুক্তিযুদ্ধে ত্রিপুরার মানুষের যে ভূমিকা, অবদান, ভারতের সেনাবাহিনীর যে অবদান তা সর্বজনবিদিত। এই স্মৃতিচিহ্ন সরিয়ে নেওয়ার মধ্য দিয়ে ইতিহাসের সেই অবদানকে ম্লান করা হবে বলে আমি মনে করি। ”

আরও পড়ুন: আগরতলা শহর থেকে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচিহ্ন সরানোয় সমালোচনা

বাংলাদেশ সময়: ২০২৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৬, ২০২০
এসকে/এজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।