ঢাকা: কিছু কিছু ক্ষেত্রে শাস্তি বাড়িয়ে মেরিন ফিসারিজ অর্ডিন্যান্সকে বাংলা করে সংসদে নতুন আইন পাস হয়েছে। কাজে বাধা দিলে ১০ লাখ টাকা জরিমানা ও দুই বছরের কারাদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে এ আইনে।
সোমবার (১৬ নভেম্বর) মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম ‘সামুদ্রিক মৎস্য বিল-২০২০’ সংসদে পাসের প্রস্তাব করলে তা কণ্ঠভোটে পাস হয়। এর আগে বিলের ওপর দেওয়া জনমত যাচাই-বাছাই কমিটিতে পাঠানো এবং সংশোধনী প্রস্তাবগুলোর নিষ্পত্তি করা হয়। এ সময় স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী সভাপতিত্ব করেন।
বিলে বলা হয়েছে, কর্তৃত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে বাধা দিলে দুই বছরের কারাদণ্ড ও ১০ লাখ টাকা জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে। বিদ্যমান আইনে তিন বছরের কারাদণ্ড ও এক লাখ টাকা জরিমানার বিধান ছিল। পাস হওয়া বিলে ইচ্ছাকৃতভাবে মৎস্য আহরণের নৌযানের ক্ষতি করলে দুই বছরের কারাদণ্ড ও ২৫ লাখ টাকা জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে। যা বিদ্যমান আইনে তিন বছরের কারাদণ্ড ও এক লাখ টাকা জরিমানার বিধান ছিল।
বিস্ফোরক ব্যবহার করে, অচেতন বা অক্ষম করে মাছ ধরলে তিন বছরের কারাদণ্ড বা এক কোটি টাকা জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে। আগের আইনে এক লাখ টাকা জরিমানার বিধান ছিল। বেআইনিভাবে ধরা মাছ সংরক্ষণ, মজুদ বা বিক্রি করলে দুই বছরের কারাদণ্ড ও ১০ লাখ টাকা জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে।
নৌযান চিহ্নিতকরণে ব্যর্থতা, অর্থাৎ কেউ যদি বাংলাদেশের মৎস্য জলসীমায় মাছ ধরার নৌযান পরিচালনা করেন এবং তা নির্ধারিত নিয়মে মার্কিং না করেন তার শাস্তি দুই বছরের কারাদণ্ড ও ১০ লাখ টাকা জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে। আগের আইনে এ অপরাধে ২৫ হাজার টাকা জরিমানার বিধান ছিল।
এছাড়া নৌযানে থাকা ব্যক্তিদের অপরাধের জন্য ওই নৌযানের স্কিপার দায়ী হবে। এ অপরাধে জরিমানার পরিমাণ পাঁচ হাজার থেকে বাড়িয়ে ১০ লাখ টাকা ও দুই বছরের কারাদণ্ড বিধানের প্রস্তাব করা হয়েছে।
বিলে আরও বলা হয়েছে, নিষিদ্ধ জাল, সরঞ্জাম বা যন্ত্রপাতি ব্যবহার করলে দুই বছরের কারাদণ্ড ও ২৫ লাখ টাকা জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে। কোনো বিদেশি জাহাজ এ আইনের অধীনে অপরাধ করলে তার মালিক, স্কিপার ও নৌযানে অবস্থানরত ব্যক্তিরা দায়ী হবেন। এর জন্য তিন বছরের কারাদণ্ড ও পাঁচ কোটি টাকা জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে।
বিদ্যমান আইনে এ অপরাধের জন্য তিন বছরের কারাদণ্ড ও এক লাখ টাকা জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে।
বিলের উদ্দেশ্য ও কারণ সম্পর্কে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রোজাউল করিম বলেন, আন্তর্জাতিক আইনি লড়াইয়ের ফলে অর্জিত বঙ্গোপসাগরে বাংলাদেশের এক লাখ ১৮ হাজার ১১৩ বর্গকিলোমিটার একচ্ছত্র অর্থনৈতিক অঞ্চলে মৎস্য সম্পদ নিরূপণ, পরিকল্পনা গ্রহণ, দেশি-বিদেশি মৎস্য নৌযান অবৈধভাবে ও অতিরিক্ত মৎস্য সম্পদ আহরণ নিয়ন্ত্রণ, মৎস্য সম্পদ সংরক্ষণ এবং সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার প্রয়োজনে বিদ্যমান অধ্যাদেশ হালনাগাদ করার প্রয়োজনীয়তা দেখা দেওয়ায় বিলটি প্রস্তুত করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২১২২ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৬, ২০২০
এসকে/আরবি/