মাগুরা: হেমন্তের সোনা ঝরা রোদ। সোনালি ধানে পাকা ফসলের মাঠ।
চলতি বছর রোপা আমন মৌসুমে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ধানের ফলন ভালো হওয়াতে কৃষকের মুখে হাসি ফুটেছে। কৃষকরা জানিয়েছেন এ বছর বৃষ্টিপাত পর্যাপ্ত হওয়ায় ধানে পানি পরিমাণ মত পেয়েছে। যার ফলে উৎপাদন বেশি হয়েছে।
মাগুরা ৭ নম্বর মঘী ইউনিয়নের মঘী গ্রামের ধান চাষি দিপক মণ্ডল জানিয়েছেন, এ বছর ১৫০ শতক জমিতে ধান চাষ করেছেন। খরচ হয়েছে ২৫ হাজার টাকা। ধানের ফলন ভালো হওয়ায় খুশি তিনি। তিনি বলেন, করোনা মহামারিতে হাতে তেমন টাকা ছিল না। পোষা একটি গাভী বিক্রি করে ধানের চাষ করে ভালো ফলন পেয়েছি। বছরের এই সময় পাকা ধান ঘরে তুলতে পেরে মন আনন্দে ভরে উঠছে।
একই গ্রামের কৃষক খবির হোসেন জানিয়েছেন, এ বছর ৯০ শতক জমিতে বর্গা ধানের চাষ করে ভালো ফলন পেয়েছি। সার, ওষুধ সবকিছু মিলিয়ে এক বিঘা জমিতে ৮ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। আমি আশা করছি বিঘা প্রতি ৩০ মন ধান পাবো। বর্তমানে বাজারে ধান মণপ্রতি ৯’শ টাকা থেকে ১ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বর্তমানে গবাদি পশুর খাবার হিসাবে বিচালির চাহিদাও রয়েছে ব্যাপক। ১ হাজার বিচালি বিক্রি হচ্ছে প্রায় ৭ হাজার টাকায়।
কৃষি অফিস জানিয়েছেন, চলিত বছরে রোপা আমন আবাদ লক্ষ্যমাত্রা ৬১৫৭০ হেক্টর জমি। আবাদ হয়েছে ৬১৫৮৫ হেক্টর জমি। উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১৭৪৯২২ মেন্ট্রিক টন (চাউল)। মাগুরা চার উপজেলায় ধানের চাষ হয়েছে সদর ২৩৫৫৫ হেক্টর, শ্রীপুর ১১৫২০ হেক্টর, শালিখা ১৪১৯০ হেক্টর, মুহাম্মপুর ১২৩২০ হেক্টর জমি। জেলায় এ বছর মোট রোপা আমন ধানের চাষ হয়েছে ৬১৫৮৫ হেক্টর জমিতে।
মাগুরা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর খামারবাড়ি মাগুরার উপ-পরিচালক সুশান্ত কুমার প্রামাণিক বাংলানিউজকে বলেন, চলিত বছরে রোপা আমন ধানের ফলন ভালো হওয়ায় কৃষকের মুখে হাসি ফুটেছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ফসলের কোন ক্ষতি হয়নি। যে কারণে এ বছর ধানের ফলন বেশি হয়েছে। কৃষি অফিসের পক্ষ থেকে কৃষকদের সহযোগিতা ও পরামর্শ দিয়েছি। আমি আশাকরি এ বছর কৃষকেরা আমন ধানের বাজারমূল্য ভালো পাবেন।
বাংলাদেশ সময়: ০৯৫০ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৭, ২০২০
এমআরএ