ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

জমিতে সেচ দেওয়াকে কেন্দ্র করে কৃষককে কুপিয়ে হত্যা

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০৩৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৭, ২০২০
জমিতে সেচ দেওয়াকে কেন্দ্র করে কৃষককে কুপিয়ে হত্যা

মাগুরা: মাগুরা সদর উপজেলা ২ নম্বর হাজরাপুর ইউনিয়ন নন্দলালপুর গ্রামে ফসলের জমিতে সেচ দেওয়াকে কেন্দ্র করে জাকির হোসেন লিটন (৪৮) নামে এক কৃষককে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে।  

সোমবার (১৬ নভেম্বর) দিনগত রাত সাড়ে ৯টার দিকে নন্দলালপুর গ্রামের পশ্চিম পাড়া চায়ের দোকানের সামনে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।

নিহত জাকির হোসেন নন্দলালপুর গ্রামের মুন্সি মনসুর আহমেদের ছেলে।

নিহতের স্ত্রী হেলেনা বেগম বাংলানিউজকে জানান, নন্দলালপুর গ্রামের শরিফুল ইসলাম শরি ও জাকির হোসেনের মধ্যে জমিজমা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিলো। এর জের ধরে গতরাতে আমার স্বামীকে শরিফুল ইসলাম ও তার লোকজন ধারালো অস্ত্র দিয়ে পায়ের রগ কেটে ও মাথায় কুপিয়ে হত্যা করেছেন। আমি ঠেকাতে গেলে আমাকে বেধড়ক মারপিট করেন তারা।

তিনি অভিযোগ করে বলেন, সোমবার বিকেলে ফসলের জমিতে সেচ দেওয়াকে কেন্দ্র করে উভয়ের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। পরে রাতে পরিকল্পিতভাবে শরিফুল ইসলামের লোকজন আমার স্বামীকে পিটিয়ে হত্যা করেছেন।

নিহতের ভাতিজা বাধন হোসেন বলেন, আমার চাচার সঙ্গে একই গ্রামের শরিফুল ইসলামের মধ্যে দীর্ঘদিনের বিরোধ ছিল।  

মাগুরা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের ডাক্তার তরিকুল ইসলাম জানান, সোমবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে আহত অবস্থায় জাকির হোসেন নামের এক কৃষককে ২৫০ শয্যা সদর হাসপাতালে নিয়ে এলে তার পায়ের রগ কাটা ও মাথায় ধারালো আঘাতের চিহ্ন দেখা যায়। পায়ের রগ কাটা থাকায় রক্তক্ষরণের কারণে তার মৃত্যু হয়েছে।

মাগুরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জয়নাল আবেদিন বাংলানিউজকে বলেন, নন্দলালপুর গ্রামে ফসলের জমিতে সেচ দেওয়াকে কেন্দ্র করে এ হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। জাকির হোসেন নামের এক কৃষক নিহত হয়েছেন। এ ব্যাপারে ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।  

এ ঘটনার সঙ্গে জড়িতের গ্রেফতার করতে পুলিশ কাজ করছে বলেও জানান ওসি জয়নাল আবেদিন।

বাংলাদেশ সময়: ১০৩৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৭, ২০২০
এমআরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।