গোপালগঞ্জ: গোপালগঞ্জে ডা. শেখ সাজ্জাদ হোসেন নামে এক চিকিৎসক সন্ত্রাসী হামলার শিকার হয়েছেন। এ সময় ঠেকাতে গিয়ে আহত হয়েছেন ওই স্বাস্থ্য কেন্দ্রের কর্মচারী ওবায়দুর রহমান।
মঙ্গলবার (১৭ নভেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার গোপীনাথপুর ১০ শয্যা বিশিষ্ট পল্লী স্বাস্থ্য কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনার পর ওই স্বাস্থ্য কেন্দ্রের বহির্বিভাগের চিকিৎসা সেবা বন্ধ করে দিয়েছেন চিকিৎসকেরা।
আহত চিকিৎসক ও কর্মচারীকে গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
আহত চিকিৎসক ডা. সাজ্জাদ হোসেন বলেন, বেলা সাড়ে ১১টার দিকে স্বাস্থ্য কেন্দ্রে রোগীদের চিকিৎসা দিচ্ছিলাম। এসময় গোপীনাথপুর গ্রামের ফটিক খন্দকারের ছেলে নাজিম খন্দকার লাইনে থাকা রোগীদের ঠেলে ভেতরে এসে তাকে আগে দেখে দিতে বলেন। এ সময় হাতের রোগী দেখা শেষ করে তাকে দেখে দিতে চাইলে তিনি ক্ষেপে গিয়ে লোকজনের সামনে আমাকে গালমন্দ করেন। এ ঘটনার কিছু সময় পরে হঠাৎ করে আমাকে লাঠিপেটা করতে থাকেন তিনি। এ সময় হাসপাতালের অফিস সহকারী ওবায়দুর রহমান বাধা দিতে গেলে তাকেও মারপিট করে পালিয়ে যান নাজিম। হামলায় আমার মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে এবং অফিস সহকারির বিভিন্ন স্থানে গুরুতর জখম হয়েছে।
এ ঘটনায় তিনি আইনের আশ্রয় নেবেন বলে জানিয়েছেন।
এ ব্যাপারে বিএমএ, গোপালগঞ্জ জেলা শাখার সাধারন সম্পাদক ডা. হুমায়ুন কবির বলেন, যে হামলা চালানো হয়েছে, সেটা খুবই জঘন্যতম কাজ। এ অপরাধের জন্য আমরা আইনের আশ্রয় নেব। জরুরি ভিত্তিতে কমিটির সভা আহ্বান করা হবে। আলোচনার ভিত্তিতে পরবর্তী কর্মসূচি নেওয়া হবে।
গোপালগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি আমরা জেনে অভিযুক্তের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে নাজিম খন্দকারের বড় ভাই মো. ইমরুল হাসান খন্দকারকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছি। ঘটনার সঙ্গে জড়িত নাজিমসহ অন্যদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। আহতদের থানায় অভিযোগ দিতে বলা হয়েছে। অভিযোগ করলে সেটি নথিভুক্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
গোপালগঞ্জের সিভিল সার্জন ডা. নিয়াজ মোহাম্মদ এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে দোষীদের গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৮০৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৭, ২০২০
এসআই