ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি): ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে রক্ষায় সচেতনতা বাড়ানোর পাশাপাশি তামাকের সহজলভ্যতা কমাতে হবে বলে অভিমত ব্যক্ত করেছেন স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (বিশ্ব স্বাস্থ্য অনুবিভাগ) কাজী জেবুন্নেছা বেগম।
মঙ্গলবার (১৭ নভেম্বর) ঢাকা বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ের সম্মেলনকক্ষে ‘তামাকমুক্ত বাংলাদেশ লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে আইন বাস্তবায়নের প্রয়োজনীয়তা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এ অভিমত ব্যক্ত করেন।
ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সভাপতিত্বে এতে আলোচনা করেন অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার মো. নুরুন্নবী, ঢাকা বিভাগীয় পরিচালক (স্বাস্থ্য) ডা. মো. বেলাল হোসেন, দি ইউনিয়নের কারিগরি পরামর্শক অ্যাডভোকেট সৈয়দ মাহবুবুল আলম প্রমুখ।
জাতীয় তামাক নিয়ন্ত্রণ সেলের প্রোগ্রাম অফিসার আমিনুল ইসলাম সুজন সভায় প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়-ঢাকা, বাংলাদেশ তামাকবিরোধী জোট, ওয়ার্ক ফর এ বেটার বাংলাদেশ ট্রাস্ট এবং দি ইউনিয়ন সমন্বিতভাবে সভা আয়োজন করে। সভাটি সঞ্চালনা করেন ডাব্লিউবিবি ট্রাস্টের কর্মসূচী ব্যবস্থাপক সৈয়দা অনন্যা রহমান।
কাজী জেবুন্নেছা বেগম বলেন, ২০৪০ সালের মধ্যে দেশকে তামাকমুক্ত করার রোডম্যাপ হচ্ছে। ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে রক্ষায় সচেতনতা বাড়ানোর পাশাপাশি তামাকের সহজলভ্যতা কমাতে হবে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে লক্ষ্য করে তামাক কোম্পানিগুলো প্রচারণা চালাছে। তামাকজাত দ্রব্যের বিজ্ঞাপন বন্ধে আরও জোরদারভাবে কাজ করার পাশাপাশি তামাকমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে সম্মিলিতভাবে তৃণমূল পর্যায় থেকে কর্মসূচি দিতে হবে।
মো. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, জনস্বাস্থ্য বিবেচনায় ধূমপান ও তামাকজাতদ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) আইনটি বাস্তবায়নে আরও জোর দেওয়া প্রয়োজন। দেশের বিভিন্ন এলাকায় তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন বাস্তবায়ন কার্যক্রম অনেকটা গতিশীলতা পেয়েছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে তামাকের ভয়াবহতা রুখতে শিগগিরই তামাকজাতদ্রব্যের বিজ্ঞাপন বন্ধে আইন অনুসারে ঢাকা বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয় থেকে পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭২২ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৭, ২০২০
এসকেবি/ওএইচ/