বাগেরহাট: বাগেহাটের মোরেলগঞ্জে ঘুমন্ত মা-বাবার পাশ থেকে নবজাতক সোহানাকে চুরি ও হত্যার ঘটনায় শিশুটির বাবা সুজন খানসহ তিনজনকে পুলিশ হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
বুধবার (১৮ নভেম্বর) বিকেলে পুলিশ তাদের মোরেলগঞ্জ থানায় নিয়ে আসে।
জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আনা অন্য দু’জন হলেন- সুজনের ছোট ভাই রিপন খান (২৫) ও ভগ্নিপতি হাসিব শেখ (৩০)।
এদিকে মরদেহ উদ্ধারের পর পুলিশের পাশাপাশি পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) ও অপরাধ তদন্ত বিভাগ বা ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেশন ডিপার্টমেন্টের (সিআইডি) পৃথক দু’টি টিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। এখনো ঘটনাস্থলে পুলিশের একাধিক টিম রয়েছে।
আমার মেয়েকে পরিকল্পিতভাবে তুলে নিয়ে হত্যা করে পুকুরে ফেলে রাখা হয়েছে বলে দাবি করেছেন শিশুটির মা শান্তা আক্তার।
মোরেলগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুল ইসলাম বলেন, প্রাথমিকভাবে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আমরা তিনজনকে থানায় নিয়ে এসেছি। থানায় রেখে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
রোববার (১৫ নভেম্বর) রাতে মোরেলগঞ্জ উপজেলার গাবতলা গ্রামে বাবা সুজন খান ও মা শান্তা আক্তারের সঙ্গে ঘুমিয়ে ছিল ১৭ দিন বয়সী সোহানা। মধ্য রাতে ঘুম ভেঙে তারা দেখেন যে শিশুটি হারিয়ে গেছে। সোমবার (১৬ নভেম্বর) ভোর থেকে পুলিশের একাধিক টিম শিশুটিকে উদ্ধারে অভিযান শুরু করলেও কোনো কূল-কিনারা পাচ্ছিল না পুলিশ। সোমবার (১৬ নভেম্বর) রাতে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে মোরেলগঞ্জ থানায় মামলা করেন শিশুটির দাদা আলী হোসেন খান। বুধবার ভোরে নামাজের পর নিজ ঘরের সামনের পুকুরে নাতির মরদেহ ভাসতে দেখেন আলী হোসেন। পরে পুলিশ শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বাগেরহাট সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।
বাংলাদেশ সময়: ১৮২৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৮, ২০২০
এসআই