বাগেরহাট: বাগেহাটের মোরেলগঞ্জে ঘুমন্ত মা-বাবার পাশ থেকে নবজাতক সোহানা চুরি ও হত্যার ঘটনায় তার বাবা সুজন খানকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। খুনি কে নিশ্চিত হতে করা হবে বাবাসহ তিনজনের ডিএনএ টেস্ট।
বৃহস্পতিবার (১৯ নভেম্বর) দুপুরে সুজনকে গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন বাগেরহাটের পুলিশ সুপার পঙ্কজ চন্দ্র রায়। এছাড়া হত্যার রহস্য উদঘাটন ও হত্যার সঙ্গে জড়িতদের শনাক্ত করতে সুজন এবং তার ছোট ভাই রিপন খান (২৫) ও ভগ্নিপতি হাসিব শেখের (৩০) ডিএনএ টেস্ট করা হবে বলে জানিয়েছেন পুলিশ।
এর আগে বুধবার বিকেলে সোহানা হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ওই তিনজনকে মোরেলগঞ্জ থানা পুলিশের হেফাজতে নেওয়া হয়।
এদিকে, হত্যার পর থেকে এখন পর্যন্ত স্বাভাবিক হতে পারেননি শিশুটির মা শান্তা আক্তার। সন্তান হত্যার সঙ্গে যদি নিজের স্বামীও জড়িত থাকেন, তাহলে তারও সর্বোচ্চ শাস্তি চেয়েছেন সন্তান হারা এ মা।
বাগেরহাটের পুলিশ সুপার পঙ্কজ চন্দ্র রায় বলেন, ঘটনাস্থল পরিদর্শন ও তদন্ত শেষে আমরা জড়িত সন্দেহে শিশুটির বাবাকে গ্রেফতার করেছি। তাকে আদালতে সোপর্দ করার প্রক্রিয়া চলছে। এছাড়া সুজনের ছোট ভাই রিপন খান ও ভগ্নিপতি হাসিব শেখের ডিএনএ টেস্ট করা হবে।
হত্যার মূল রহস্য উদঘাটন করতে পুলিশের তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
রোববার (১৫ নভেম্বর) রাতে মোরেলগঞ্জ উপজেলার গাবতলা গ্রামে বাবা সুজন খান ও মা শান্তা আক্তারের সঙ্গে ঘুমিয়ে ছিল ১৭ দিন বয়সী সোহানা। মধ্য রাতে ঘুম ভেঙে তারা দেখেন যে শিশুটি হারিয়ে গেছে। সোমবার (১৬ নভেম্বর) ভোর থেকে পুলিশের একাধিক টিম শিশুটিকে উদ্ধারে অভিযান শুরু করলেও কোনো কূল-কিনারা পাচ্ছিল না পুলিশ। সোমবার (১৬ নভেম্বর) রাতে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে মোরেলগঞ্জ থানায় মামলা করেন শিশুটির দাদা আলী হোসেন খান। বুধবার ভোরে নামাজের পর নিজ ঘরের সামনের পুকুরে নাতির মরদেহ ভাসতে দেখেন আলী হোসেন। পরে পুলিশ শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বাগেরহাট সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪২ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৯, ২০২০
এসআই