ঢাকা: দেশের তৈরি পোশাক কারখানায় কর্মরত ৭১ শতাংশ শ্রমিক পরিবার পরিকল্পনা বিধি মেনে চলছেন। এদের মধ্যে ৫২ শতাংশ জন্মনিয়ন্ত্রণ বড়ি, ৩০ শতাংশ জন্মনিয়ন্ত্রণ ইনজেকশন, ৯ শতাংশ শ্রমিকের স্বামী কনডম ব্যবহার করেন এবং ৭ শতাংশ শ্রমিক চিরাচরিত পদ্ধতি ব্যবহার করেন।
ঢাকা সিটি, সাভার, গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ ও চট্টগ্রামে র্কমরত শ্রমিকদের ওপর পরিচালিত সাউথ এশিয়ান নেটওয়ার্ক অন ইকোনমকি মডেলিং (সানেম) এর জরিপে এ সব তথ্য উঠে এসেছে। জরিপে অংশ নেওয়া ৮৮৬ জন শ্রমিকের ৮৭৫ জনই স্বস্তিতে জবাব দিয়েছেন।
সম্প্রতি তথ্য সংগ্রহ করার সময় প্রকল্পের নারী পোশাক শ্রমকিদের পরিবার পরিকল্পনা এবং মাসিককালীন স্বাস্থ্যবিধির ওপর কিছু সুনির্দিষ্ট প্রশ্ন করা হয়।
যেসব নারী পোশাক শ্রমিকদের জন্য পরিবার পরিকল্পনার বিষয়টি প্রযোজ্য (যারা বিবাহিত, প্রজনন ক্ষমতার বয়সে রয়েছেন এবং যারা সন্তান জন্মদানে সর্মথ), তাদের মধ্য থেকে ৭১ শতাংশ শ্রমিক জানিয়েছেন তারা পরিবার পরিকল্পনার বিধি মেনে চলছেন। যারা পরিবার পরিল্পনার বিধি পালন করছেন তাদের মধ্যে ৫২ শতাংশ জন্মনিরোধক পিল বা বড়ি ব্যবহার করছেন। ৩০ শতাংশ জন্মনিরোধক ইনজেকশন ব্যবহার করছেন। ৯ শতাংশ নারী শ্রমিকের স্বামী কনডম ব্যবহার করেন। ৭ শতাংশ শ্রমিক জানিয়েছেন তারা চিরাচরিত পদ্ধতি ব্যবহার করছেন। অন্যান্য পদ্ধতি যেমন আইইউডি’র ব্যবহার, স্থায়ী সার্জারি বা ইমপ্ল্যান্ট পদ্ধতিগুলির প্রত্যেকটি ১ শতাংশেরও কম পোশাক শ্রমিক ব্যবহার করছেন।
সানেম এবং এমএফও-র যৌথ উদ্যোগে পরিচালিত এই জরিপ ‘গার্মেন্ট ওয়ার্কার ডায়েরিজ’ শীর্ষক প্রকল্পের অংশ। এই প্রকল্পের মাধ্যমে বৈশ্বিক পোশাক সরবরাহ ও উৎপাদক দেশগুলোতে নিয়োজিত শ্রমিকদের শ্রম ঘণ্টা, আয়, ব্যয় এবং অন্যান্য আর্থিক ব্যবস্থাপনা নিয়ে নিয়মিত, নির্ভরযোগ্য তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করা হয়। এই প্রকল্পের উদ্দেশ্য হচ্ছে, প্রাপ্ত তথ্য উপাত্তের ওপর ভিত্তি করে সরকারী নীতি, শ্রমিকদের দাবি-দাওয়া আদায় এবং কারখানা ও ব্র্যান্ডের মাধ্যমে পোশাক শ্রমিকদের জীবনমান উন্নত করা।
বাংলাদেশ সময়: ১৮২০ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৯, ২০২০
এসই/এমজেএফ