জামালপুর: জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জে নাতির ধর্ষণের দায়ে ৮৫ বছর বৃদ্ধ দাদার সঙ্গে ধর্ষণের শিকার ১১ বছরের কিশোরীর বিয়ে দিয়েছে স্থানীয় মাতব্বররা । ধর্ষণের শাস্তি হিসেবে ধর্ষককে দেওয়া হয়েছে ১০ দোররা।
ঘটনাটি সোমবার (১৬ নভেম্বর) ঘটলেও এতদিন তা গোপন ছিল।
স্থানীয়রা জানান, জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার চর আমখাওয়া ইউপির বয়ড়াপাড়া গ্রামের একটি মহিলা মাদ্রাসার পঞ্চম শ্রেণীর শিক্ষার্থীর সঙ্গে একই এলাকার সুরমান আলীর বখাটে ছেলে শাহিনের শারীরিক সম্পর্ক হয়। এক পর্যায়ে ওই শিক্ষার্থী অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে। পরে কবিরাজি চিকিৎসায় মেয়েটির গর্ভপাত ঘটানো হয়। বিষয়টি ফাঁস হয়ে যাওয়ায় স্থানীয় ইউপি সদস্য ও স্থানীয় মাতব্বররা এ বিষয়ে সালিশ বৈঠক করেন। সালিশে ধর্ষক শাহিনকে ১০টি দোররা মেরে তার কর্মকাণ্ডের দায় চাপিয়ে দেওয়া হয় ৮৫ বছরের বৃদ্ধ দাদার ওপর। পরে দাদা মহির উদ্দিনের সঙ্গে ভুক্তভোগী ১১ বছরের কিশোরীর বিয়ে দেন স্থানীয় মাতব্বরেরা।
৮৫ বছরের বৃদ্ধ মহির উদ্দিন ঠিকমতো কথা বলতে পারেন না, চোখেও ঝাপসা দেখেন। তিনি সাত সন্তানের বাবা। তার দুই স্ত্রী অনেক আগে মারা গেছেন। তিনি অভিযোগ করে বলেন, তার ঘাড়ে দোষ চাপিয়ে বিয়ের ব্যবস্থা করেছে স্থানীয় চর আমখাওয়া ইউপি সদস্য নাদু মেম্বারসহ আরও কয়েকজন।
চর আমখাওয়া ইউপি সদস্য জয়নাল আবেদীন নাদুও বিষয়টি স্বীকার করে বাংলানিউজকে জানান, মুরব্বিদের নিয়ে সালিশ করা হয়। সালিশে অনৈতিক কাজ করায় শাহিনকে ১০টি দোররা মারা হয়। পরে স্থানীয়দের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ধর্ষকের দাদার সঙ্গে কিশোরীটির বিয়ে দেওয়া হয়।
চর আমখাওয়া ইউপি চেয়ারম্যান আজিজুর রহমান আকন্দও ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
দেওয়ানগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিনুল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, এখন পর্যন্ত এ বিষয়ে কেউ অভিযোগ করেননি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯০৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৯, ২০২০
এমআরএ