ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

এএসপি আনিসুলের চিকিৎসায় জড়িত ছিলেন না ডা. মামুন: তদন্তে দাবি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৩২ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৯, ২০২০
এএসপি আনিসুলের চিকিৎসায় জড়িত ছিলেন না ডা. মামুন: তদন্তে দাবি আদালতে ডা. আব্দুল্লাহ আল মামুন, ইনসেটে এএসপি আনিসুল

ঢাকা: পুলিশের সিনিয়র এএসপি আনিসুল করিম শিপনের চিকিৎসা সংক্রান্ত কোনো পর্যায়ে ডা. আব্দুল্লাহ আল মামুনের কোনো ধরনের সংশ্লিষ্টতা ছিল না। জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের তদন্ত প্রতিবেদনে এমন দাবি করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৯ নভেম্বর) জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক ডা. বিধান চন্দ্র রায় পোদ্দার স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ দাবি করা হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিগত ৯ নভেম্বর আনুমানিক সকাল সাড়ে সাতটায় পুলিশের সিনিয়র এএসপি আনিসুল করিম শিপনকে তার ভগ্নিপতি ডা. রাশেদুল হাসান রিপন পুলিশের কিছু সদস্যসহ উত্তেজিত অবস্থায় জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসেন। সেই সময় দায়িত্বরত চিকিৎসক রোগীর ভগ্নিপতির সঙ্গে পরামর্শ সাপেক্ষে তাকে জরুরি ভিত্তিতে শান্ত করার জন্য উত্তেজনা প্রশমনকারী ইঞ্জেকশন দেওয়ার নির্দেশ দেন এবং অবজারভেশনে রাখেন।

এতে আরও বলা হয়, আনুমানিক সকাল ৯টায় রোগীর ভগ্নিপতি এবং অন্যান্য স্বজনরা রোগীসহ হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক সহকারী অধ্যাপক ডা. শাহানা পারভীনের সঙ্গে দেখা করেন। রোগীর ভগ্নিপতি এবং সহকারী অধ্যাপক ডা. শাহানা পারভীন উভয়ই বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজের শিক্ষার্থী হওয়ায় পূর্বপরিচিত ছিলেন। ডা. শাহানা পারভীন রোগীর অবস্থা পর্যবেক্ষণ করেন এবং শারীরিক-মানসিক পরীক্ষা করে তাকে জরুরি ভিত্তিতে হাসপাতালে ভর্তির নির্দেশনা দেন। কিন্তু তার ভগ্নিপতিসহ অন্যান্য অভিভাবক তাকে অত্র হাসপাতালে ভর্তি করতে অসম্মত হন। সহকারী অধ্যাপক ডা. শাহানা পারভীন তাদের আউটডোরে টিকিট লিপিবদ্ধ করেন। এ পর্যায়ে ডা. শাহানা পারভীন আউটডোর টিকিটের প্রয়োজনীয় ওষুধ লিখে দেন এবং সরবরাহকৃত ওষুধ সংগ্রহ করে রোগীর স্বজনদের হাতে তুলে দেন।

এরপর রোগী আনিসুল করিম, তার বোন, ভগ্নিপতি এবং পুলিশ সদস্যরা হাসপাতাল প্রাঙ্গণ ত্যাগ করেন।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের প্রতিবেদনে প্রতীয়মান হয়, ওই রোগীর চিকিৎসা সংক্রান্ত কোনো পর্যায়ে ডা. আব্দুল্লাহ আল মামুনের কোনো প্রকার সংশ্লিষ্টতা ছিল না।

বাংলাদেশ সময়: ২০৪৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৯, ২০২০
পিএস/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।