ঢাকা: রোহিঙ্গা সংকটের জরুরি সমাধানের লক্ষ্যে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের তৃতীয় কমিটিতে বিপুল ভোটে চতুর্থবারের মতো প্রস্তাব গৃহীত হয়েছে।
‘মিয়ানমারের রোহিঙ্গা মুসলিম ও অন্যান্য সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানবাধিকার পরিস্থিতি’ শীর্ষক প্রস্তাবটি গত ১৮ নভেম্বর বিপুল ভোটে গৃহীত হয়।
ওআইসি ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন যৌথভাবে প্রস্তাবটি উত্থাপন করে, যাতে পৃষ্ঠপোষকতা দিয়েছে ১০৪ দেশ। রেজুলেশনটির পক্ষে ভোট দেয় ১৩২ দেশ, বিপক্ষে ভোট দিয়েছে ৯ দেশ। আর ভোট দানে বিরত থাকে ৩১ দেশ।
প্রস্তাবের বিপক্ষে ভোট দেওয়া দেশগুলো হলো— রাশিয়া, চীন, মিয়ানমার, বেলারুশ, কম্বোডিয়া, ফিলিপাইন, ভিয়েতনাম, জিম্বাবুয়ে ও লাওস। ভোট না দেওয়া দেশগুলোর মধ্যে রয়েছে— প্রতিবেশী ভারত, সার্কভুক্ত দেশ নেপাল ও শ্রীলঙ্কা, জাপান, সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড, ভেনেজুয়েলা।
জাতিসংঘ প্রস্তাবটিকে ধারাবাহিকভাবে সমর্থন জানানোর জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে ধন্যবাদ জানিয়েছেন জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাবাব ফাতিমা।
তিনি বলেন, এবারের প্রস্তাবটিতে আন্তর্জাতিক ন্যায়বিচার আদালতের সাময়িক আদেশ, আন্তর্জাতিক ফৌজদারি আদালতের তদন্ত শুরুর বিষয় এবং রোহিঙ্গা ও অন্যান্য সংখ্যালঘুদের মিয়ানমারের জাতীয় নির্বাচনসহ অন্যান্য ক্ষেত্রে অব্যাহতভাবে বঞ্চিত করার মতো নতুন বিষয়গুলো উঠে এসেছে।
প্রস্তাবটিতে মিয়ানমারকে সুনির্দিষ্ট কিছু বিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহণের জন্যও আহ্বান জানানো হয়েছে। বিষয়গুলো হলো—রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্ব প্রদানসহ সমস্যাটির মূল কারণ খুঁজে বের করা, প্রত্যাবর্তনের উপযোগী পরিবেশ তৈরি করে রোহিঙ্গাদের নিরাপদ ও টেকসই প্রত্যাবাসন নিশ্চিত করা, প্রত্যাবর্তনের ক্ষেত্রে আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধির পদক্ষেপ হিসেবে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে সংঘটিত অপরাধের জন্য দায়ী ব্যক্তিদের জবাবদিহি নিশ্চিত করা।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৪১ ঘণ্টা, নভেম্বর ২০, ২০২০
এমজেএফ