রাজশাহী: রাজশাহীতে অসহায় নারীদের বিদেশ পাঠানোর উদ্দেশ্যে প্রশিক্ষণের নামে প্রতারণা ও পাচারের চেষ্টার অভিযোগে দুইজনকে আটক করা হয়েছে।
তারা হলেন- মামুন হোসেন (৩০) ও জান্নাতুল খাতুন নিশি (২১)।
শুক্রবার (২০ নভেম্বর) সকালে মহানগরীর কাজলা এলাকার একটি ভাড়া বাসায় অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।
জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দার (এনএসআই) তথ্যের ভিত্তিতে জেলা প্রশাসনের একটি ভ্রাম্যমাণ আদালত এ অভিযান চালায়। অভিযানে নেতৃত্ব দেন রাজশাহীর অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) আবু আসলাম। এ সময় এনএসআইর রাজশাহী মহানগর কার্যালয়ের উপ-পরিচালক সৈয়দ হোসেন ও জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট লিটন চন্দ্র দে উপস্থিত ছিলেন।
দুপুরে এডিএম আবু আসলাম জানান, আটক মামুনের বাড়ি কুষ্টিয়া। তিনি সম্প্রতি কাজলা এলাকার নিপা বেগম নামে এক নারীর বাড়িটি ভাড়া নেন। বাড়ি ভাড়া নেওয়ার সময় তিনি বলেছিলেন মাঝে মধ্যে এখানে নারীদের ফ্যাশন ডিজাইনের প্রশিক্ষণ দেবেন। এরপর ৮০ থেকে শতভাগ স্কলারশিপে তাদের ফ্যাশান ডিজাইনের ওপর পড়াশোনার জন্য বিদেশে পাঠানো হবে।
সেখানে পড়াশোনা শেষ করে তারা চাকরি করবেন। ভাল আয় করে টাকা দেশে পাঠাবেন। বাড়ির মালিক নিপার ছোট বোন নিশি মামুনের বন্ধু। নিশি এলাকার ২০ থেকে ২৫ জন অসহায় তরুণীকে এ প্রশিক্ষণের জন্য নিয়ে আসেন। শুক্রবার সকালে এসব তরুণীর সঙ্গে ওই বাড়িটিতে আলোচনা চলছিল। তখন অভিযান চালিয়ে মামুন ও নিশিকে আটক করে নিয়ে আসা হয়।
এডিএম আরও জানান, এটি আসলে একটি প্রতারণার ফাঁদ। তা না হলে মামুন তো তার নিজের জেলায় কাজটি করতে পারতেন। আর তার নিজের কোন প্রতিষ্ঠানও নেই। তাহলে তিনি কীভাবে নারীদের বিদেশে পাঠাবেন।
প্রাথমিকভাবে এটি প্রতারণার ফাঁদ মনে হলেও এর সঙ্গে নারী পাচারের উদ্দেশ্য আছে বলেই মনে হচ্ছে। এ প্রতারক চক্র মেয়েদের পাচারের উদ্দেশ্যে গোপনে ঘরোয়া প্রশিক্ষণের ফাঁদ তৈরি করেছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
তাই এ বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে। আর আটক দুইজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট লিটন চন্দ্র দে’র হেফাজতে আছেন। তিনি তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেবেন বলেও জানান এডিএম আবু আসলাম।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩০ ঘণ্টা, নভেম্বর ২০, ২০২০
এসএস/ওএইচ/