ঢাকা: ৫০তম সশস্ত্র বাহিনী দিবস শনিবার (২১ নভেম্বর)। নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে দিবসটি যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত হবে।
বাঙালি জাতিকে স্বাধিকার আদায়ে উদ্বুদ্ধ ও প্রস্তুত করে ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ রাতে স্বাধীনতার ঘোষণা দেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। বাঙালি সেনা, ছাত্র, ও সাধারণ জনতা মিলে গড়ে তোলেন সামরিক বাহিনী। শুরু হয় দুর্বার মুক্তিযুদ্ধ।
২১ নভেম্বর স্বাধীনতা যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে একটি মহান দিন। বাংলাদেশের সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনী সম্মিলিতভাবে দখলদার পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে আক্রমণের সূচনা করে ১৯৭১ সালের ২১ নভেম্বর থেকে। আশির দশকের মাঝামাঝি থেকে সম্মিলিতভাবে ২১ নভেম্বরকে সশস্ত্র বাহিনী দিবস হিসেবে পালনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
এর আগে সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনী আলাদা আলাদাভাবে যথাক্রমে ২৫ মার্চ, ১০ ডিসেম্বর ও ২৮ সেপ্টেম্বর সেনাবাহিনী দিবস, নৌবাহিনী দিবস ও বিমান বাহিনী দিবস পালন করতো। পরে ২১ নভেম্বরের তাৎপর্য সমুন্নত রাখতে সম্মিলিত দিবস পালনের সিদ্ধান্তটি হয়।
আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদফতর (আইএসপিআর) জানায়, এবারের সশস্ত্র বাহিনী দিবসে দেশের সব সেনানিবাস, নৌ ঘাঁটি ও স্থাপনা এবং বিমান বাহিনী ঘাঁটির মসজিদগুলোতে ফজরের নামাজ শেষে বিশেষ মোনাজাতের মধ্য দিয়ে দিবসের কর্মসূচি শুরু হবে। দিবসটি উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া বক্তব্য শনিবার (২১ নভেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় বাংলাদেশ টেলিভিশনসহ বেসরকারি টেলিভিশন এবং রেডিওতে একযোগে প্রচার করা হবে।
শনিবার সকালে স্বাধীনতা যুদ্ধে আত্মত্যাগকারী সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে তাদের সামরিক সচিবরা ঢাকা সেনানিবাসের শিখা অনির্বাণে পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন। এরপর সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ, নৌবাহিনী প্রধান অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ শাহীন ইকবাল ও বিমান বাহিনী প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল মাসিহুজ্জামান সেরনিয়াবাত নিজ নিজ বাহিনীর পক্ষ থেকে শিখা অনির্বাণে পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন।
তিন বাহিনী প্রধান বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি ও গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা বিষয়ক উপদেষ্টা মেজর জেনারেল তারিক আহমেদ সিদ্দিক (অবসরপ্রাপ্ত), তিন বাহিনী প্রধান ও সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন।
আইএসপিআর আরও জানায়, বর্তমান করোনা পরিস্থিতির কারণে কিছু আনুষ্ঠানিকতা সীমিত আকারে করা হবে। এবছর ঢাকা, খুলনা, চাঁদপুর, বরিশাল ও চট্টগ্রামে নৌবাহিনীর জাহাজগুলো সর্ব সাধারণের পরিদর্শনের জন্য উন্মুক্ত থাকবে না।
শুক্রবার (২০ নভেম্বর) বাংলাদেশ টেলিভিশনে রাত ৮টার বাংলা সংবাদের পর সশস্ত্র বাহিনীর পরিবেশনায় ‘বিশেষ অনির্বাণ’ অনুষ্ঠান সম্প্রচার করা হয়েছে। বাংলাদেশ বেতার ২১ নভেম্বর (শনিবার) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় ‘বিশেষ দুর্বার’ অনুষ্ঠান সম্প্রচার করবে। ‘বিশেষ অনির্বাণ’ অনুষ্ঠানটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলে পরবর্তীসময়ে পর্যায়ক্রমে সম্প্রচারিত হবে।
বাংলাদেশ সময়: ০০৩০ ঘণ্টা, নভেম্বর ২০, ২০২০
টিএম/এএ