ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

এক পাতা জাল স্ট্যাম্প বিক্রি হতো ২৫ থেকে ৩০ টাকায়

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৫৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ২১, ২০২০
এক পাতা জাল স্ট্যাম্প বিক্রি হতো ২৫ থেকে ৩০ টাকায় ব্রিফিং/ ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা: আসল স্ট্যাম্পের মধ্যে জাল স্ট্যাম্প ঢুকিয়ে দিয়ে একসঙ্গে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করে আসছিলো চক্রের সদস্যরা। যেন সহজে কউ বুঝতে না পারে।

আর এই কাজে চক্রের অন্যতম সদস্য মনির মোল্লা ও সাকিবসহ বেশ কয়েকজন সহায়তা করতো। শুধু তাই নয়, প্রতি পাতা জাল স্ট্যাম্প তৈরিতে ১৫ থেকে ১৬ টাকা খরচ হতো। ছাপার পর এসব জাল স্ট্যাম্প বিক্রি করতেন চক্রের সদস্যরা ২৫ থেকে ৩০ টাকায়।

শনিবার (২১ নভেম্বর) রাজধানীর মিন্টোরোডে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানিয়েছেন ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ডিবি) এ কে এম হাফিজ আক্তার।

এর আগে, শুক্রবার (১৯ নভেম্বর) রাজধানীর পল্টন ও ঢাকার আশুলিয়া থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে জাল স্ট্যাম্প, ডাক টিকিট, কোর্ট ফি প্রস্তুতকারী একটি কারখানা থেকে মো. আশরাফুজ্জামান ওরফে আকাশ (৪৫), মো. মোরসালিন সরদার সোহেল (৩০), মো. রনি শেখ (২৫) ও মো. আব্দুল আজিজ (২৩) নামে চক্রের ৪ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের রমনা বিভাগ। এসময় ওই কারখানা থেকে জাল স্ট্যাম্প প্রস্তুতে ব্যবহৃত ১টি কম্পিউটার, ১টি প্রিন্টার, ২ বড় ইলেকট্রিক সেলাই মেশিন, ১টি লোহার সেলাই মেশিন উদ্ধার করা হয়। এছাড়াও ১৮ কোটি টাকা মূল্যের জাল স্ট্যাম্প, ডাক টিকিট ও কোর্ট ফি জব্দ করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার এ কে এম হাফিজ আক্তার বলেন, এই চক্রটি দীর্ঘদিন ধরেই জাল স্ট্যাম্প তৈরি করে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করে আসছিলো।

তিনি বলেন, জাল স্ট্যাম্পগুলো উদ্ধার না হলে এগুলো সারা দেশে ছড়িয়ে পড়তো। এতে সরকার রাজস্ব হারাতো এবং সাধারণ মানুষ প্রতারণা ও হয়রানির শিকার হতেন।

এ বিষয়ে গ্রেফতার আসামিদের বিরুদ্ধে রাজধানীর পল্টন থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ২১, ২০২০
এসজেএ/এইচএডি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।