ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

করোনার দ্বিতীয় ঢেউ: সচেতনতায় জোর সরকারের

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৫০ ঘণ্টা, নভেম্বর ২২, ২০২০
করোনার দ্বিতীয় ঢেউ: সচেতনতায় জোর সরকারের ফাইল ছবি

ঢাকা: করোনা ভাইরাসের দ্বিতীয় ওয়েভ ঠেকাতে নিজেদের সক্ষমতা নির্ণয়ের পাশাপাশি সতর্কতামূলক প্রচার-প্রচারণায় জোর দিচ্ছে সরকার। গণপরিবহন থেকে শুরু করে সর্বত্র যেন মাস্ক ব্যবহার করা হয় সেজন্য সচেতনতামূলক বিভিন্ন কার্যক্রম হাতে নেওয়া হচ্ছে।

স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের পরামর্শ মতে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের নির্দেশনায় জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এবং অন্যান্য মন্ত্রণালয়গুলো এই প্রচার-প্রচারণায় জোর তাগাদা দিচ্ছে।

শীতে করোনার সম্ভাব্য দ্বিতীয় ঢেউ আসার আগেই করোনায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে গেছে। ইতোমধ্যে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক জানিয়েছেন দ্বিতীয় ঢেউ দেখা যাচ্ছে।

রোববার (২২ নভেম্বর) করোনায় আক্রান্ত ৩৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। তাপমাত্রা কমে যাবার সঙ্গে সঙ্গে শনাক্তের হার, রোগী এবং মৃত্যুর হার আরও বেড়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এই অবস্থায় সচেতনতার বিকল্প দেখছেন না সংশ্লিষ্টরা।

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ ইতোমধ্যে মাঠ প্রশাসনকে সচেতনতামূলক প্রচারণা এবং মাস্ক পরতে মোবাইল কোর্ট পরিচালনার নির্দেশনা দিয়েছে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম।

‘নো মাস্ক নো সার্ভিস’ বাস্তবায়নের জন্য সচিবালয়সহ সরকারি দপ্তরগুলোতে পোস্টার/ব্যানার সাঁটানো হয়েছে। মাস্ক পরায় উৎসাহিত করছেন কর্মকর্তারা।

গণপরিবহনে যাতে সবাই মাস্ক পরে সেজন্য তৎপরতা চলছে বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব মো. নজরুল ইসলাম।

তিনি বলেন, আমাদের বিআরটিএ থেকে যখন মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয় তখন দেখা হয় সবাই মাস্ক পরছেন কিনা। চালক, হেলপার, যাত্রীরা ঠিকমতো মাস্ক পরেছেন কিনা, দেখা যায় কেউ কেউ মাস্ক পকেটে রাখেন। যখন অভিযান চালানো হয় তখন পকেট থেকে বের করে মাস্ক পরেন। এটার জন্য সবার সচেতনতা দরকার।

সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব আরও বলেন, আমাদের দিক থেকে প্রচারণা আছে। আমরা বার বার বলছি মাস্ক পরার জন্য। মাস্ক না পরলে সেবা দেওয়া হবে না, এমন সিদ্ধান্ত সরকারেরও আছে। সে অনুযায়ী আমরা কার্যক্রম নিয়েছি।

করোনার দ্বিতীয় ওয়েভ নিয়ে তৎপরতা আছে জানিয়ে নজরুল ইসলাম বলেন, স্বাস্থ্যমন্ত্রী সম্প্রতি আমাদের নিয়ে মিটিং করেছেন। সেখানে সচেতনতার বিষয়টি বড় করে এসেছে। সবার স্বাস্থ্যঝুঁকি আছে, এটা তো ভয় থাকা দরকার। এ নিয়ে আমরা কাজ করছি।

অন্যদিকে কোভিড-১৯ এর সেকেন্ড ওয়েভ মোকাবিলায় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সক্ষমতা, প্রস্তুতি ও সতর্কতামূলক প্রচার-প্রচারণা সম্পর্কে রোববার সন্ধ্যায় অনলাইনে এক সভা করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সভাপতিত্বে এই সভায় সচিব ছাড়াও সব বিভাগীয় পরিচালক, করোনার বিশেষায়িত হাসপাতালের প্রধান, আইইডিসিআরের পরিচালক এবং ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ, মিটফোর্ড মেডিক্যাল কলেজ, সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ, চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষরা যুক্ত থাকবেন বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৪১ ঘণ্টা, নভেম্বর ২২, ২০২০
এমআইএইচ/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।