ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

মোবাইল কোর্টের ভয় দেখিয়ে পাখি শিকারীর কাছে ঘুষ দাবি

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৪৪৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৩, ২০২০
মোবাইল কোর্টের ভয় দেখিয়ে পাখি শিকারীর কাছে ঘুষ দাবি মোবাইল কোর্টের ভয় দেখিয়ে পাখি শিকারীর কাছে ঘুষ দাবি

হবিগঞ্জ: হবিগঞ্জের বানিয়াচং উপজেলার হাওর থেকে একজন পাখি শিকারীকে আটকের পর মোবাইল কোর্টের ভয় দেখিয়ে তার নিকট ঘুষ দাবির অভিযোগ ওঠেছে বন বিভাগের কর্মচারীর বিরুদ্ধে।

রোববার (২২ নভেম্বর) এ ঘটনা ঘটে।

বানিয়াচং উপজেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসন বাংলানিউজকে জানান, ঘুষ চাওয়ার সত্যতা মিলেছে। তবে, বন বিভাগ জানিয়েছে তদন্তের পর এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, রোববার ভোরে বানিয়াচং উপজেলার ভবানী হাওরে বক পাখিসহ শ্রীনন্দন সরকার নামে একজন শিকারীকে আটক করে বন বিভাগ। অভিযানে ছিলেন হবিগঞ্জ জেলা বন ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের ফরেস্টার তোফায়েল আহমেদ চৌধুরীসহ কয়েকজন কর্মচারী।

আটকের পর সকাল ১০টায় শিকারীকে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ইফফাত আরা জামান উর্মির ভ্রাম্যমান আদালতে হাজির করা হয়। তখন তিনি আটক ব্যক্তিকে ১০ হাজার টাকা জরিমানার আদেশ দেন। এরপর জরিমানার টাকা দিয়ে মুক্তি পান শ্রীনন্দন সরকার।

এদিকে, ভ্রাম্যমান আদালতে রায়ের পর দণ্ডাদেশপ্রাপ্ত ব্যক্তি উপজেলা প্রশাসনকে জানান, ভোর ৬টায় তাকে আটক করা হয়। এরপর অভিযানে থাকা বন বিভাগের এক কর্মচারী তার নিকট ১০ হাজার টাকা ঘুষ দাবি করেন। ঘুষ না দিলে শ্রীনন্দন সরকারকে ভ্রাম্যমান আদালতে জেল-জরিমানার ভয়ও দেখানো হয়।

বানিয়াচং থানা পুলিশ জানায়, অভিযুক্ত বন বিভাগের কর্মচারী নিজেকে পুলিশের লোক পরিচয় দিয়ে আটক ব্যক্তির এক আত্মীয়কে বিকাশে ১০ হাজার টাকা পাটাতে বলেন। পরে তাকে নিয়ে আজমিরীগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন হাওরে ঘুরতে থাকেন। এক পর্যায়ে টাকা না পেয়ে উপজেলা প্রশাসনের সামনে তাকে উপস্থিত করা হয়।

অন্যদিকে, বিষয়টি জানতে পেরে বানিয়াচং থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ঘুষ চাওয়ার সত্যতা পেয়েছে। বন বিভাগের নিকট তারা এ ব্যাপারে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য মৌখিকভাবে সুপারিশও করেছে।

বানিয়াচং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. এমরান হোসেন বাংলানিউজকে জানান, বন বিভাগের এক কর্মচারী পুলিশ পরিচয়ে পাখি শিকারের নিকট ঘুষ চেয়েছেন। এর সত্যতাও পাওয়া গেছে। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।

 হবিগঞ্জ জেলা বন ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের কর্মকর্তা মো. রেজাউল করিম বাংলানিউজকে বলেন, বানিয়াচং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাসুদ রানা বিষয়টি মোবাইল ফোনে আমাকে অবগত করেছেন। তিনি বলেছেন, প্রশাসনের নিকট ঘুষ চাওয়ার প্রমাণও রয়েছে। এ বিষয়ে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

বাংলাদেশ সময়: ০৪৪৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৩, ২০২০
ওএফবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।