বরিশাল: যৌতুক দাবিতে স্ত্রীকে মারধর ও তালাকের হুমকি দেওয়ার ঘটনায় বরিশাল টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ নূর উদ্দিন আহম্মেদের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেছেন তার স্ত্রী দীনা খান। তিনি উজিরপুর উপজেলার যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা।
রোববার (২৩ নভেম্বর) বরিশাল মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এই মামলা করা হয়। আদালতের বিচারক মো. আনিছুর রহমান শুনানি শেষে অভিযোগ তদন্ত করে প্রতিবেদন দেয়ার জন্য নগরের ১৬ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলরকে নির্দেশ দেন।
অভিযুক্ত অধ্যক্ষ নূর উদ্দিন আহম্মেদ টাঙ্গাইলের মীর্জাপুরের নয়াপাড়া গোড়াই এলাকার মৃত মহিউদ্দিন আহম্মদের ছেলে।
আদালত সূত্রে জানা যায়, ১৯৯৯ সালের ২৮ জুলাই নূর উদ্দিন আহম্মেদের সাথে দীনা খানের বিয়ে হয়। সংসার জীবনে তাদের দুই কন্যা সন্তান রয়েছে। বিয়ের পর বিভিন্ন সময় নূর উদ্দিন তার স্ত্রীকে যৌতুকের জন্য চাপ দেয়। স্ত্রী যৌতুক দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে নূর উদ্দিন তাকে মারধর করে বাবার বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়।
সবশেষ গত ১৭ নভেম্বর রাতে দীনা খানের বাবার বাড়িতে এক শালিস বৈঠক হয়। ওই বৈঠকে নূর উদ্দিন তার স্ত্রী দীনা খানের কাছে পাঁচ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করেন। দীনা খান টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে নূর উদ্দিন তাকে তালাকের হুমকি দিয়ে বৈঠক থেকে চলে যায় বলেও মামলায় উল্লেখ করা হয়।
তবে যৌতুক দাবি এবং মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করে অধ্যক্ষ নূর উদ্দিন আহম্মেদ জানান, তিনি বাবা-মায়ের একমাত্র ছেলে। বাবা অনেক আগে মারা যায়। বৃদ্ধা মা টাঙ্গাইলে গ্রামের বাড়িতে থাকেন। তাকে দেখার কেউ নেই। প্রতি সপ্তাহে বৃদ্ধা মা’কে দেখতে গ্রামের বাড়ি যান তিনি। এ নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে মনোমালিন্য হয়। এর জের ধরে স্ত্রী সংক্ষুব্ধ হয়ে এই মামলা করতে পারেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৩৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৩, ২০২০
এমএস/এইচএমএস