বাগেরহাট: ১৪ বছর আগে বাগেরহাটে স্ত্রী ও একমাত্র সন্তানকে হত্যা করে আত্মগোপন করেন মুহিত হোসেন শেখ (৪৮) নামে এক ব্যক্তি। তার অনুপস্থিতেই ছয় বছর আগে এ মামলায় তাকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেন আদালত।
হত্যার ১৪ বছর ও মৃত্যুদণ্ডাদেশ পাওয়ার ছয় বছর পর অবশেষে সোমবার (২৩ নভেম্বর) সকালে পুলিশের হাতে ধরা পড়লেন তিনি।
সকালে বাগেরহাট জেলার ফকিরহাট উপজেলার কাটাখালী এলাকা থেকে কচুয়া থানা পুলিশ মুহিতকে গ্রেফতার করে।
পরে দুপুরে বাগেরহাট জেলা ও দায়রা জজ আদালতে সোপর্দ করলে মুহিতকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন বিচারক মোহা. গাজী রহমান।
মুহিত হোসেন কচুয়া উপজেলার চরকাঠি গ্রামের মৃত হাশেম শেখের ছেলে।
মামলা সূত্রে জানা যায়, পরকীয়ায় বাধা দেওয়ায় ২০০৬ সালের ১৪ অক্টোবর রাতে মারধরের পরে শ্বাস রোধ করে স্ত্রী শাফি বেগমকে হত্যা করেন মুহিত হোসেন শেখ। এ ঘটনায় শাফির ভাই শহিদুল ইসলাম বাদী হয়ে হত্যা মামলা করেন। মামলা থেকে বাঁচতে ও অন্যের ঘাড়ে দোষ চাপাতে তিন মাস পরে ভাতের সঙ্গে বিষ মিশিয়ে নিজের একমাত্র সন্তান শিরিনকে (৭) হত্যা করেন মুহিত। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার চার্জশিট ও সাক্ষীদের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে অভিযোগ প্রমাণ হওয়ায় ২০১২ সালে আদালত মুহিতকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেন। মেয়েকে হত্যার পর থেকেই মুহিত পলাতক ছিলেন।
কচুয়া থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) মো. অলিয়ার রহমান বলেন, মুহিত দীর্ঘদিন ধরে খুলনার আইসগাতিসহ বিভিন্ন এলাকায় আত্মগোপনে ছিলেন। তিনি সেখানে একটি বিয়েও করেন। আমরা গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে কাটাখালী এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করেছি।
বাংলাদেশ সময়: ১৬১৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৩, ২০২০
এসআই