সিলেট: সিলেটে পূর্ব বিরোধের জের ধরে খেলার ছলে লিটন মিয়া (১৪) নামে এক কিশোরকে আছাড় মেরে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। সোমবার (২৩ নভেম্বর) সিলেট ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই কিশোরের মৃত্যু হয়।
নিহত লিটন মিয়া নগরের পশ্চিম পীরমহল্লা এলাকার বাসিন্দা শিরণ মিয়ার ছেলে। এ ঘটনায় নিহতের বাবা বাদী হয়ে এয়ারপোর্ট থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।
সিলেট নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ কমিশনার (মিডিয়া) বিএম আশরাফ উল্লাহ তাহের বাংলানিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, গত ২১ নভেম্বর সকাল ১১টার দিকে মো. লিটন মিয়া (১৪) তার বাড়ির সামনে সড়কে দাঁড়ানো ছিল। ওই সময় একই এলাকার ১৩৯ নম্বর বাসার কালাম আহমদের ছেলে মো. রাহুল পারভেজ (২০) তাকে কুস্তি খেলার প্রস্তাব দেয়। কিন্তু এই প্রস্তাবে লিটন রাজি না হওয়ায় পারভেজ তাকে ঘাড়ে ধরে ওপরে তুলে আছাড় মারে। পরক্ষণে মাটিতে লুটিয়ে থাকা লিটনকে কিল, ঘুষি ও লাথি মারে পারভেজ। ঘটনাটি প্রত্যক্ষ করে পাশে থাকা তাজিম (১৫) ও আরাফাত (১০)। তারা এগিয়ে গিয়ে লিটনকে রক্ষা করে এবং মাটি থেকে টেনে তুলে দাঁড় করায়।
তিনি বলেন, মার খেয়ে লিটন বাসায় চলে যায়। পরদিন বিকেলে তার মায়ের কাছে ঘটনাটি বলে এবং তার ঘাড়ে, মাথায়, পিঠে ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে ব্যথা করছে বলেও জানায়।
এদিন তার মা স্থানীয় ফার্মেসি থেকে হইতে ব্যাথার ওষুধ এনে খাওয়ান। কিন্তু রাতে ব্যাথা না কমায় সোমবার ২৩ নভেম্বর সকালে তাকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে সকাল পৌনে ৯টায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় লিটন মারা যায়। এ ঘটনায় নিহতের বাবা বাদী হয়ে নগরের এয়ারপোর্ট থানার হত্যা মামলা (নং-৫৫(১১)২০২০) দায়ের করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৮০৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৩, ২০২০
এনইউ/এএটি