মৌলভীবাজার: মৌলভীবাজার জেলাকে ডাকাতমুক্ত করতে শুরু হয়েছে ‘পুলিশ-জনতার ব্যতিক্রমী যৌথ পাহারা’। এরই অংশ হিসেবে জেলার শ্রীমঙ্গলে ডাকাতি প্রতিরোধে পুরো উপজেলাজুড়ে সোমবার (২৩ নভেম্বর) রাতভর ব্যতিক্রমী ‘পুলিশ-জনতা যৌথ মহড়া’ হয়।
শ্রীমঙ্গল থানা সূত্র জানায়, সোমবার দিনগত রাত সাড়ে ১২টা থেকে মঙ্গলবার (২৪ নভেম্বর) ভোর ৫টা পর্যন্ত এ মহড়া দেয় শ্রীমঙ্গল থানা পুলিশ।
মৌলভীবাজার জেলার পুলিশ সুপার ফারুক আহমেদের নির্দেশে এবং অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ ও প্রশাসন) হাসান মোহাম্মদ নাসের রিকাবদারের নেতৃত্বে পুলিশ জনতার এ যৌথ মহড়া বের করা হয়।
মহড়াটি শ্রীমঙ্গল থানা থেকে বের হয়ে উপজেলার আশিদ্রোন বাজার, শিববাড়ি বাজার, সিন্দুরখান বাজার, রামনগর মনিপুরী পাড়া, সবুজবাগ, শাপলাবাগ, ভাড়াউড়া চা বাগান, মৌলভীবাজার রোড, জেটি রোড, সৌরভীপাড়া, বিরাহিমপুর, শ্যামলী আবাসিক এলাকা, ফুলছড়া চা-বাগান, কালীঘাট চা-বাগান, চকগাঁও বাজার, হুগলিয়া বাজার, মতিগঞ্জ বাজার, হবিগঞ্জ রোড এলাকা, রেলস্টেশন এলাকা, রাধানগর, জেরিন চা-বাগান, বিষামনি এবং মোহাজেরাবাদসহ বিভিন্ন এলাকা প্রদক্ষিণ করে শ্রীমঙ্গল চৌমুহনা চত্বরে এসে শেষ হয়।
শ্রীমঙ্গল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুছ ছলেকের সার্বিক সহযোগিতায় মহড়ায় উপস্থিত ছিলেন থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. হুমায়ুন কবির, পুলিশ পরিদর্শক (অপারেশন) নয়ন কারকুন, উপ-পরিদর্শক মো. আল আমিন, মো. আলমগীর হোসেন, রোকনুজ্জামানসহ উপজেলার বিভিন্ন এলাকার প্রায় দুই শতাধিক লোক।
শীতকালে চুরি-ডাকাতি বাড়তে পারে এমন আশংকা থেকে জেলা পুলিশের উদ্যোগে উপজেলার প্রতিটি পাড়া, মহল্লায় স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক নেতারা, ও সমাজের গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সঙ্গে আলোচনা করে ডাকাত প্রতিরোধ কমিটি এবং মহল্লাভিত্তিক পাহারার ব্যবস্থাও জোরদার করা হয়েছে।
মহড়া দেওয়ার সময় শ্রীমঙ্গল থানা পুলিশের উদ্যোগে বিভিন্ন এলাকার রাত্রিকালীন পাহারাদারদের রিপ্লের্টিং জ্যাকেট পরিয়ে দেওয়া হয়। পাশাপাশি তাদের হাতে শুকনো খাবার তুলে দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার দুপুরে শ্রীমঙ্গল থানার ওসি মো. আব্দুছ ছলেক বাংলানিউজকে বলেন, ডাকাতি প্রতিরোধে পুরো শ্রীমঙ্গল উপজেলায় ‘পুলিশ-জনতা যৌথ মহড়া’ অনুষ্ঠিত হয়। এটি অব্যাহত থাকবে। সবাই সহযোগিতা করলে শ্রীমঙ্গল উপজেলাকে একটি ডাকাতমুক্ত উপজেলা হিসেবে উপহার দেওয়া সম্ভব হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪২৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৪, ২০২০
বিবিবি/এএটি