ঢাকা: পিরোজপুর কলাখালী গ্রাম থেকে ২৫ বছর আগে রাজধানীর মহাখালী সাততলা বস্তি এলাকায় এসেছিলেন জাহাঙ্গীর আলম। প্রথমদিকে শাক-সবজির আবাদ করতেন ওই এলাকায়।
সোমবার (২৩ নভেম্বর) দিনগত রাত পৌনে ১২টার দিকে অগ্নিকাণ্ডে বাবা জাহাঙ্গীর আলম (৪৯) ও ছেলে রফিকুল ইসলাম (২২) হারিয়েছেন তাদের দোকান। বাবার ছিল ক্রোকারির দোকান আর ছেলের কসমেটিকসের দোকান। ক্রোকারির দোকানে আগুন লেগে পুড়ে গেছে প্রায় ১০-১১ লাখ টাকার জিনিসপত্র। আগুনলাগায় রাতে লুট হয়ে যায় কসমেটিকসের দোকান।
রফিকুল বাংলানিউজকে বলেন, ‘আমার কসমেটিকসের দোকান ছিল এখানে। গত রাতে যখন আগুন লাগে তখন আমার দোকানটি লুট হয়ে যায়। চলতি মাসেই দোকানটি শুরু করেছিলাম। দোকানে তুলেছিলাম চার লাখ টাকার কসমেটিকস সামগ্রী। ’
ক্রোকারির দোকান মালিক জাহাঙ্গীর আলম বাংলানিউজকে বলেন, ‘২৫ বছর আগে পরিবার নিয়ে পিরোজপুর কলাখালী গ্রাম থেকে মহাখালীর সাততলা বস্তিতে এসেছি। প্রথমদিকে শাক-সবজির আবাদ করতাম। বর্তমানে ছেলে আর আমি দু’টি দোকান দিয়ে এখানে ব্যবসা করছিলাম। আমার ছিল ক্রোকারির দোকান। আমার দোকানে মাল ছিল প্রায় ১০-১১ লাখ টাকার। প্রায় সবই পুড়ে গেছে। যা অবশিষ্ট আছে, তাও আগুনের তাপে নষ্ট হয়ে গেছে। দোকানে নগদ ৪০ হাজার টাকা ছিল, তাও পুড়ে গেছে। ১১ হাজার টাকা দোকান থেকে নিতে পেরেছিলাম। পরিবার নিয়ে পথে বসে গেলাম। পরিবার নিয়ে এখন কীভাবে চলবো?’
সরকারের কাছে সহযোগিতা চেয়ে জাহাঙ্গীর বলেন, ‘জনপ্রতিনিধি ও সরকার যদি আমাদের সাহায্য করে, তাহলে আবারও ছেলে আর আমি মিলে কিছু একটা করার চেষ্টা করতাম। ’
রাজধানীর মহাখালীর সাততলা বস্তির আগুনে পুড়ে গেছে ২০০ ঘর ও ৩৫টিরও বেশি দোকান। সোমবার রাত পৌনে ১২টার দিকে লাগা এ আগুন রাত ১টার দিকে নিয়ন্ত্রণে আসে। এর আগে ২০১৬ সালে সাততলা বস্তিতে আগুন লেগে শতাধিক বাড়িঘর পুড়ে গিয়েছিল।
বাংলাদেশ সময়: ১৭২৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৪, ২০২০
এমএমআই/এফএম