ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

তিলোত্তমা নগরী গড়তে মানসিকতায় পরিবর্তন আনতে হবে

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫২১ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৫, ২০২০
তিলোত্তমা নগরী গড়তে মানসিকতায় পরিবর্তন আনতে হবে

খুলনা: নগরকে বাসযোগ্য করে গড়ে তুলতে হলে নগরবাসীর সহযোগিতা প্রয়োজন। খুলনাকে তিলোত্তমা নগরী গড়তে হলে মানসিকতায় পরিবর্তন আনতে হবে।

পরিকল্পনা ছাড়া নগর উন্নয়ন সম্ভব নয়। এখনও অপরিকল্পিতভাবে অনেকে বাড়ি তৈরি করছেন।

বুধবার (১৫ নভেম্বর) দুপুরে নগর ভবন সম্মেলন কক্ষে বিশ্ব নগর পরিকল্পনা দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন খুলনা সিটি কর্পোরেশনের (কেসিসি) মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক। বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ব্র্যাক এর সহযোগিতায় খুলনা সিটি কর্পোরেশন এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। দিবসতে এবারের প্রতিপাদ্য ‘জনস্বাস্থ্যের জন্য নগর পরিকল্পনা’।

মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক বলেন, করোনা সংক্রমণের কারণে খুলনার উন্নয়ন কিছুটা থমকে ছিল। ড্রেনেজ ব্যবস্থার উন্নয়নে আটশ কোটি টাকা এবং রাস্তার উন্নয়নে ছয়শ কোটি টাকার কাজ চলমান রয়েছে। জলাবদ্ধতা নিরসনে চেষ্টা চলছে। ময়লা ফেলার জন্য নির্দিষ্ট স্থান রয়েছে। তবুও অনেকে নির্দিষ্ট স্থানে ময়লা না ফেলে ড্রেনে ফেলছেন। এ কারণে নগরীতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হচ্ছে। নির্দিষ্ট স্থানে ময়লা ফেলার জন্য নগরবসীর প্রতি অনুরোধ করেন সিটি মেয়র। ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে একটি বাসযোগ্য, পরিকল্পিত ও পরিচ্ছন্ন নগরী উপহার দিতে যেকোনো কঠিন পদক্ষেপ নিতে পিছপা না হওয়ার ঘোষণা দেন তিনি।  

তিনি বলেন, যার যার দায়িত্বটুকু সঠিকভাবে পালন করলে পরিকল্পিত নগর গড়া সম্ভব। দায়িত্বহীনতার পরিচয় দিলে নগর উন্নয়ন সম্ভব নয়।

খুলনা সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা পলাশ কান্তি বালার সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন কেসিসির নগর পরিকল্পনা উন্নয়ন স্থায়ী কমিটির সভাপতি ফকির মো. সাইফুল ইসলাম।  

সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা দেন কেসিসির প্যানেল মেয়র মো. আলী আকবার টিপু, অ্যাডভোকেট মেমরী সুফিয়া রহমান শুনু, সচিব মো. আজমুল হক, প্রধান প্রকৌশলী এজাজ মোর্শেদ চৌধুরী, চিফ প্ল্যানিং অফিসার মো. আবির-উল-জব্বার, অধ্যাপক তুষার কান্তি রায় প্রমুখ।

সভায় প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের নগর পরিকল্পনা উন্নয়ন ডিসিপ্লিনের প্রধান অধ্যাপক ড. মোস্তফা সরোয়ার।

বাংলাদেশ সময়: ১৫২০ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৫, ২০২০
এমআরএম/আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।