ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

বিনামূল্যে বীজ-সার পেলো ফেনীর ৭৪০ কৃষক

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৫৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৬, ২০২০
বিনামূল্যে বীজ-সার পেলো ফেনীর ৭৪০ কৃষক কৃষকদের মধ্যে বিনামূল্যে বীজ-সার বিতরণ করা হচ্ছে

ফেনী: চলতি রবি মৌসুমে প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে ক্ষয়ক্ষতি পুষিয়ে নিতে এবং রবি মৌসুমে ফসলের উৎপাদন বাড়ানোর লক্ষ্যে কৃষি পুনর্বাসন ও কৃষি প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় ফেনী সদর উপজেলার ১২টি ইউনিয়নে মোট ৭৪০ জন ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের মধ্যে বিনামূল্যে বীজ ও সার বিতরণ করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৬ নভেম্বর) দুপুরে সদর উপজেলা পরিষদ চত্বরে কৃষকদের মধ্যে বিনামূল্যে বিভিন্ন ফসলের বীজ ও সার বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধন অনুষ্ঠানের আয়োজন করে উপজেলা প্রশাসন ও কৃষি বিভাগ।

 

সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাসরীন সুলতানার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুর রহমান বিকম, জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক তোফায়েল আহম্মদ চৌধুরী ও অতিরিক্ত উপ-পরিচালক (শস্য) আবু তাহের। এতে স্বাগত বক্তব্যে রাখেন সদর উপজেলা কৃষি অফিসার শারমীন আক্তার। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার আহসান হাবীব।

ইউএনও নাসরীন সুলতানা বলেন, করোনা ও বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের ক্ষয়ক্ষতি পুষিয়ে নিতে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের মধ্যে বিনামূল্যে কৃষি পুনর্বাসন ও কৃষি প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় বীজ-সার বিতরণ করা শুরু হয়েছে। উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা কৃষি অফিসের সার্বিক তত্ত্বাবধানে এ বীজ ও সার বিতরণ করা হচ্ছে।

সদর উপজেলা পরিষদের আবদুর রহমান বিকম বলেন, প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী এক ইঞ্চি জমিও যেন খালি না থাকে সেই লক্ষ্যে প্রণোদনা দিচ্ছে কৃষি বিভাগ। খাদ্য মোকাবিলায় বড় চ্যালেঞ্জ নিয়ে সরকার করোনাকালীন যেন খাদ্য ঘাটতি না ঘটে তাই বিনামূল্যে কৃষকদের বীজ ও সার বিতরণ করা হচ্ছে।

উপ-পরিচালক তোফায়েল আহম্মদ চৌধুরী বলেন, রবি মৌসুমে কৃষকদের সর্বাত্মক প্রচেষ্টায় মাঠে বিভিন্ন ফসল ফলবে। সোনালি ধান, শীতকালীন সবজি, হলুদ ও সবুজের মিশ্রণে সরিষার ক্ষেতসহ অন্য ফসলে ভরপুর থাকবে।

তিনি বলেন, গোলায় ফসল থাকলে কৃষকরা থাকেন ফুরফুরে মেজাজে। তাদের অক্লান্ত পরিশ্রমে দেশ খাদ্য স্বয়ংসম্পূর্ণ হচ্ছে।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, এ কর্মসূচির পুনর্বাসন আওতায় পর্যায়ক্রমে উপজেলার ৭৪০ জন কৃষকের মধ্যে চাহিদা মোতাবেক বোরো ধান, গম, ভুট্টা, সরিষা, সূর্যমুখী, চিনাবাদাম ও শীতকালীন মুগ বীজ এবং ডিএপি ও এমওপি সার বিতরণ করা হচ্ছে। আর প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় পৌরসভাসহ উপজেলার তিন হাজার কৃষকের মধ্যে হাইব্রিড বোরো ধান বিতরণ করা হবে।

সদর উপজেলায় ৭৪০ জন কৃষকের মধ্যে ৮ লাখ ২৬ হাজার টাকা মূল্যের প্রণোদনা বিতরণের অংশ হিসেবে প্রতিজন কৃষক বিঘা প্রতি বোরো ধান বীজ এক কেজি, ১০ কেজি করে ডিএপি ও এমওপি সার, গম বীজ এক কেজি, ১০ কেজি করে ডিএপি ও এমওপি সার, ভুট্টা বীজ দুই কেজি, ডিএপি ২০ কেজি ও এমওপি ১০ কেজি সার, সরিষা বীজ এক কেজি, ১০ কেজি করে ডিএপি ও এমওপি সার, সূর্যমুখী বীজ এক কেজি, ১০ কেজি করে ডিএপি ও এমওপি সার, চিনাবাদাম বীজ ১০ কেজি, ডিএপি ১০ কেজি, এমওপি ৫ কেজি সার, শীতকালীন মুগ বীজ ৫ কেজি, ডিএপি ১০ কেজি, এমওপি ৫ কেজি সার পেয়েছেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৫৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৬, ২০২০
এসএইচডি/আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।