খুলনা: খুলনার তেরখাদা থানা ভবনের দক্ষিণ পাশে ছিল ময়লার ভাগাড়। দুর্গন্ধে আশপাশের মানুষ ছিল অতিষ্ট।
তেরখাদা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ গোলাম মোস্তফার উদ্যোগে পার্কটি নির্মাণ করা হয়। পার্কের ভেতরে রয়েছে বিভিন্ন প্রকারের খেলনা।
ওসি বাংলানিউজকে বলেন, উপজেলায় শিশুদের জন্য কোনো বিনোদন বা খেলাধুলার স্থান নেই। বিষয়টি স্থানীয় সংসদ সদস্য আবদুস সালাম মুর্শেদী ও খুলনা জেলা পুলিশ সুপার এস এম শফিউল্লাহকে অবহিত করলে তারা আমার পকিল্পনায় সমর্থন দেন। প্রায় ছয় মাস আগে খুলনা জেলা পুলিশ সুপারের নির্দেশনায় ও স্থানীয় সংসদ সদস্যের অর্থায়নে পার্ক তৈরির কাজ শুরু হয়। এরইমধ্যে ৬০-৭০ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে।
তিনি বলেন, পার্কের মধ্যে শিশুদের জন্য দোলনা, হর্স রকিং, টেকি কল, স্লিপার রয়েছে। এছাড়া হরিণ, ঘোড়া, বাঘ, শাপলার ভাস্কর্য রয়েছে। পার্কটিতে নারকেল ও তাল গাছ লাগানো হয়েছে। পার্কের সৌন্দর্য বাড়ানোর জন্য নানা প্রকারের ফুলের গাছ লাগানো হবে।
খুলনা জেলা পুলিশ সুপার শফিউল্লাহ বাংলানিউজকে জানান, তেরখাদা থানা প্রাঙ্গণের পার্কটি পুলিশ সদস্যদের সন্তান ছাড়াও বাইরে থেকে থানায় আসা বিভিন্ন মানুষের সঙ্গে থাকা শিশুদের জন্য পার্কটি উন্মুক্ত থাকবে।
এদিকে স্থানীয়রা বলছেন, থানার ভেতরে এক সময় যেখানে ময়লার ভাগাড় ছিল সেখানে শিশুপার্ক নির্মাণের উদ্যোগটি নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয়। পার্কটি থানায় কর্মরত পুলিশ সদস্যদের সন্তান ও স্থানীয় শিশুদের মানসিক-শারীরিক বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। এতে আরও বেশ কিছু রাইড থাকলে শিশুরা বেশি উৎফুল্ল হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১০৩৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৭, ২০২০
এমআরএম/আরবি