সাতক্ষীরা: সব নাটকীয়তার অবসান ঘটিয়ে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার হাওয়ালখালীতে দিনদুপুরে চুরি হওয়া ১৫ দিনের নবজাতক সোহানের মরদেহ ৩৬ ঘণ্টা পর বাড়ির বাথরুমের ট্যাংকি থেকে উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছে পুলিশ।
শুক্রবার (২৭ নভেম্বর) দিবাগত রাত ১টার দিকে পুলিশ তার মরদেহ উদ্ধার করে।
অপরদিকে শিশুটির মাকে অসুস্থতা জনিত কারণে প্রথমে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে তাকেও গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।
এর আগে শুক্রবার সকালে সদর থানা পুলিশ ও পিবিআই পৃথকভাবে চুরি হওয়া শিশুটি উদ্ধারে কাজ শুরু করে। দুপুরে শিশুটির বাবা সোহাগ হোসেন সদর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন।
সাতক্ষীরা সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মীর্জা সালাহ উদ্দীন জানান, পুলিশ এ ঘটনায় সন্দেহভাজন হিসেবে শিশুটির মা ও বাবাকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তারা জানান, যে শিশুটি খুবই অসুস্থ ছিল। সে জন্ডিস, রিকেট, নিউমোনিয়া ও হার্টের সমস্যাসহ বিভিন্ন রোগে ভুগছিল।
মীর্জা সালাহ উদ্দীন বলেন, এ সমস্ত কারণে ও ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে তারা স্বামী-স্ত্রী দুজনে যোগসাজশে শিশুটিকে হত্যা করে মরদেহ গুমের ঘটনাটি ঘটিয়েছে বলে স্বীকারোক্তি দিয়েছে।
তিনি আরো জানান, শিশুটির বাবা সোহাগ হোসেন শিশুটিকে মেরে তাদের বাড়ির সামনের সেপটিক ট্যাংকির ভেতরে ফেলে দেয়। আর এ কাজে সহযোগিতা করে তার মা ফাতেমা খাতুন। পুলিশ বিষয়টি জানার পর শুক্রবার রাত ১টার দিকে মরদেহ উদ্ধার করে।
** সাতক্ষীরায় চুরি হওয়া নবজাতকের মরদেহ উদ্ধার, বাবা গ্রেফতার
বাংলাদেশ সময়: ১১৪৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৮, ২০২০
আরএ