ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

‘শীত ভালোভাবে পড়লে পিঠা বিক্রি বাড়বে’

সাগর ফরাজী, সাভার করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০২৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৯, ২০২০
‘শীত ভালোভাবে পড়লে পিঠা বিক্রি বাড়বে’

সাভার (ঢাকা): বাংলা মাসের কার্তিকের শেষ অংশে এসেই এবার শীত উঁকি দিচ্ছে৷ গত কয়েকদিন সকাল-সন্ধ্যা হালকা শীত অনুভূত হচ্ছে।

শীতের আভাস পেতেই শীতের পিঠা নিয়ে হাজির আশুলিয়ার খাইরুল ইসলাম-সাদিয়া খাতুন দম্পতি।

বর্তমানে পিঠা বিক্রির পরিমাণ কম হলেও শীত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পিঠার কদর বাড়বে বলে মনে করছেন তারা।

শিল্প অঞ্চল আশুলিয়ার পলাশবাড়ী এলাকায় ছোট্ট একটি শাখা সড়কের পাশে কাঠ, চুলা, চালের আটা নিয়ে চিতই ও ভাপা পিঠা বিক্রি শুরু করেছেন তারা। খাইরুল বসে বসে পিঠা তৈরি করেন আর স্ত্রী সাদিয়া তা ক্রেতাদের কাছে বিক্রি করছেন।

পিঠার সঙ্গে তারা পরিবেশন করছেন  সরিষা, ধনিয়া পাতা, শুটকি, কাঁচামরিচ ও কালোজিরা ভর্তা। রাতে কারখানা থেকে শ্রমিকরা এসে ভিড়ও জমাচ্ছেন পিঠার ভ্রাম্যমাণ দোকানে।

রোববার (২৯ নভেম্বর) রাতে খাইরুলের পিঠার ভ্রাম্যমান এই দোকানে কথা হয় তাদের সঙ্গে।

খাইরুল ইসলাম এসময় বাংলানিউজকে জানান, কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশেই তাদের বাড়ি। জীবিকার তাগিতে পাঁচ সদস্যের সংসার নিয়ে ঢাকার আশুলিয়ায় আসেন তারা। এখানেই একটি কলোনিতে দুই রুমের বাসা ভাড়া নিয়ে থাকেন সবাই। বড় ছেলে একটি পোশাক কারখানায় চাকরি করলেও অন্য সন্তানদের বয়স কম। তাই সংসারে চালাতে খাইরুলকেই রুটি-রুজির জন্য বিভিন্ন বিষয়ে ভাবতে হয়। যদিও খাইরুল শাক-সবজি বিক্রির পাশাপাশি সন্ধ্যা থেকে রাতের সময়টি শুধু শীত মৌসুমে পিঠা বিক্রি করেন।



খাইরুল বলেন, দুই বছর যাবত শীত এলেই আমি ও আমার স্ত্রী পিঠা বিক্রি করি। সঙ্গে সবার ছোট ছেলেটা আমাদের সাহায্য করে। প্রতিবারের মতো এবারও শুরু করেছি দুই দিন হলো। দেখি কি হয়। সারাদিন কাঁচামালের দোকান সামলাই আর বাড়তি ইনকামের জন্য রাতে পিঠা বিক্রি করি।

খাইরুলের স্ত্রী সাদিয়া বলেন, দুই বাচ্চা লেখাপড়া করাই। করোনার কারণে এখন স্কুল-কলেজ বন্ধ। তাই আর্থিকভাবে সমস্যা হয় না। স্কুল-কলেজ খুললেই তাদের বেতন-ফি দিতে হবে। শুধু কাঁচামালের ব্যবসা দিয়ে সংসার চলে না। তাই শীত আসলে অন্য কাজের পাশাপাশি পিঠা বিক্রি করি।

‘আগের শীতে প্রতিদিন ১০ থেকে ১৫ কেজি চাউলের পিঠা তৈরি করতাম। এখন অবশ্য তিন থেকে চার কেজি চালের পিঠা বানাচ্ছি। শীতটা ভালোভাবে পড়লেই পিঠা বিক্রি বেড়ে যাবে। এখন কোনো মতে খরচ চলছে। ’

শীতের পিঠা খেতে আসা সফিকুল ইসলামের সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, আমার বাসা পাশেই। কারখানা ছুটি হওয়ার পর প্রতিদিন আমি এদিক দিয়ে যাতায়াত করি। শীত শুরু হলে সপ্তাহে তিন-চার দিন আমি এখানে বসে পিঠা খেয়ে যাই। এছাড়া বাসার লোকদের জন্যও সঙ্গে নিয়ে যাই। শীতের সময় পিঠার আলাদা একটা কদর আছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৯, ২০২০
এইচএমএস/এসআরএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।