ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ

নিউজ ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১১৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ৩০, ২০২০
প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ

ঢাকা: গত কয়েকদিনে জেসপার গ্রুপ নিয়ে গণমাধ্যমে প্রকাশিত বিভিন্ন মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন প্রতিবেদনের প্রতি জেসপার গ্রুপের দৃষ্টি আকৃষ্ট হওয়ায় উক্ত প্রতিবেদনগুলোর বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়েছেন জেসপার গ্রুপের কর্ণধার মো. শহিদুল্লাহ হোসেন। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদগুলো সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট, ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে দাবি করেছেন তিনি।

প্রতিবাদ লিপিতে শহিদুল্লাহ হোসেন দাবি করেছেন, তিনি একজন সৎ, নিষ্ঠাবান ও নিরীহ ব্যবসায়ী হিসেবে প্রায় ৫০ বছর ধরে সুনামের সঙ্গে ব্যবসা পরিচালনা করে আসছেন। তিনি একজন নিয়মিত আয়কর দাতা। তিনি জেসপার ট্রেডিং এর স্বত্ত্বাধিকারী। গত বছর রাজশাহী কর-অঞ্চলের সর্বোচ্চ করদাতা হিসেবে পুরস্কৃত হয়েছেন। তিনি মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের লোক ও বঙ্গবন্ধুর আদর্শের একজন সৈনিক। তিনি পাবনা জেলা আওয়ামী লীগের একজন সু-পরিচিত ও পৃষ্ঠপোষক। ছোটবেলা থেকেই তিনি আওয়ামী লীগের একজন একনিষ্ঠ কর্মী। কয়েকটি প্রচার মাধ্যমে তাকে বিএনপির শাসনামলে পাবনার জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে সক্রিয় থাকার কথা উল্লেখ করেছে। এ তথ্যটি সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন। জামায়াত বা বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে তার কোনো ধরনের সম্পৃক্ততা নেই ও কখনই ছিল না। পাবনার জামায়াত-বিএনপির কেউ এ দাবি করতে পারবে না। করোনার সময়ে বিপদগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের দুর্দশাকে কাজে লাগিয়ে সুদ বাণিজ্যের নেটওয়ার্ক গড়ে তোলা, দুর্দশাগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের কাছে ২৫ থেকে ৩০ শতাংশ হারে সুদে ঋণ দেওয়া বা পাবনার সহজ সরল মানুষকে চড়া সুদে ঋণ দেওয়া, ঋণ দিয়ে ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে দুই বা তিন গুণ টাকার অঙ্কের চেক নেওয়া এসব কাহিনীও সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট, ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত বলেও তিনি প্রতিবাদ লিপিতে উল্লেখ করেছেন।

তার বিরুদ্ধে কেউ এ ধরনের দাবি প্রমাণসহ দেখাতে পারবেন না। তিনি কখনো সুদের ব্যবসা বা হুন্ডি ব্যবসা করেননি। এ ধরনের কোনো অভিযোগ কেউ কখনো উত্থাপন করেননি। এমনকি ভবিষ্যতেও করতে পারবে না। জেসপার গ্রুপের প্রতিষ্ঠান জেসপার জুট মিলস লিমিটেড ও জেসপার ফুডস প্রডাক্টস লিমিটেড অস্তিত্বহীন দাবি করা হয়েছে গণমাধ্যমের কোনো কোনো প্রতিবেদনে। এটাও সম্পূর্ণ মিথ্যা। জেসপার জুট মিলস লিমিটেড ও জেসপার ফুডস প্রোডাক্টস লিমিটেড এখনও পাবনা জেলার সুজানগরে চিনাখড়ায় ও পাবনার শালগাড়িয়ায় অবস্থিত। দু’টি প্রতিষ্ঠানেরই অস্তিত্ব রয়েছে। তবে ব্যবসা মন্দার কারণে প্রতিষ্ঠান দু’টি বন্ধ রয়েছে। প্রতিষ্ঠান দু’টির নামে কোনো ব্যাংক ঋণ নেই। কাজেই কয়েক শত কোটি টাকা ঋণ নিয়ে তা পাচার করার কাহিনী সম্পূর্ণ মিথ্যা, মনগড়া ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত বলে প্রতিবাদ লিপিতে দাবি করেন শহিদুল্লাহ হোসেন।

তিনি বলেন, মামলা-মোকদ্দমার ভয় দেখিয়ে আমি কখনো কারো সম্পত্তি বা মিল-ফ্যাক্টরি হাতিয়ে নিয়েছি এমন বক্তব্যও উদ্দেশ্য প্রণোদিত, বানোয়াট এবং মিথ্যা। এর সমর্থনে সুনির্দিষ্ট কোনো অভিযোগের প্রমাণ নেই। আমদানি না করে বা কেনাকাটা না করে ভুয়া কাগজপত্র তৈরি করে ঋণ নেওয়ার কোনো অভিযোগ তার বিরুদ্ধে নেই। এছাড়া তিনি গত ২০ বছরের বেশি সময় ধরে সুতা আমদানি করেন না। বৈধ উপায়ে তিনি কাঁচা তুলা ও অন্যান্য দ্রব্য সামগ্রী আমদানি করেন। ব্যাংকের অসাধু কর্মচারী বা কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগসাজস করে তিনি অবৈধভাবে ঋণ নেন এ ধরনের কোনো অভিযোগ কোনো ব্যাংক করতে পারবে না বা কখনো করেননি। তিনি কখনো বাংলাদেশ থেকে বিদেশে চাকরির জন্য কোনো লোক পাঠাননি। তাকে মানবপাচারের সঙ্গে যুক্ত করে যে প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে যা কল্পকাহিনী, হাস্যকর ও মিথ্যা। পাবনা বা অন্য কোনো স্থানের কেউ তার বিরুদ্ধে এ ধরনের কোনো প্রমাণ দেখাতে পারবে না। তিনি খেজুর, মশুর ডালসহ খাদ্যদ্রব্য বৈধভাবে আমদানি করেন। তিনি কোনো প্রকার সিন্ডিকেটের সঙ্গে যুক্ত নয় বা নিয়ন্ত্রণ করেন না। মেয়াদ উর্ত্তীর্ণ বা নিম্নমানের খেজুর বা মসুর ডাল আমদানির অভিযোগে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে তিনি কখনো জরিমানা দেননি। এ ধরনের তথ্যও সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও মিথ্যা। দিনের বেলায় অফিস খোলা থাকে না সম্পর্কে যে তথ্য প্রকাশিত হয়েছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট। এছাড়াও তিনি অবৈধ অর্থ পাচার করে কানাডা ও অস্ট্রেলিয়ায় বাড়ি করেছেন এবং ব্যবসা বাণিজ্যের বিস্তৃতি ঘটিয়েছেন সম্পর্কে যে তথ্য প্রকাশিত হয়েছে তাও সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত বলেও প্রতিবাদ লিপিতে উল্লেখ করেন শহিদুল্লাহ হোসেন।

প্রতিবাদ লিপিতে তিনি বলেন, কারো দ্বারা প্রভাবিত হয়ে কয়েকটি গণমাধ্যম কোনো প্রকার খোঁজ-খবর না নিয়ে মনগড়া সংবাদ পরিবেশন করেছেন। এ সংবাদ প্রকাশের আগে তার সঙ্গে কেউ কোনো প্রকার যোগাযোগ করেননি এবং কোনো প্রকার কথা বলেননি, যা সংবাদ মাধ্যমে কোনো প্রতিবেদন প্রকাশের নীতিমালার বাইরে। এমনকি তার বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগের সমর্থনে কোনো ব্যবসায়ী বা ভুক্তভুগীর বক্তব্য নেই। কাজেই স্পষ্টতঃ প্রমাণিত হয় যে, এসব অভিযোগ মিথ্যা, ভিত্তিহীন, মনগড়া ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত। পেছনে থেকে কেউ প্রভাবিত করে তার ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করা, সমাজে তাকে হেয় প্রতিপন্ন করা এবং ব্যবসায়িক সুনাম নষ্ট করার অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে।

ভবিষ্যতে এ ধরনের সংবাদ প্রকাশ না করতে গণমাধ্যম গুলোকে বিনীত অনুরোধ করেন শহিদুল্লাহ হোসেন।

বাংলাদেশ সময়: ২১১৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ৩০, ২০২০
আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।