ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

শার্শা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিজেই যেন রোগী

উপজেলা করেসপন্ডেট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৫০৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১, ২০২০
শার্শা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিজেই যেন রোগী

বেনাপোল (যশোর): শার্শা উপজেলায় একমাত্র সরকারি স্বাস্থ্য সেবাদানকারী কেন্দ্র ৫০ শয্যাবিশিষ্ট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স জনবলের অভাবে নিজেই যেন রোগীতে পরিণত হয়েছে। সেখানে একমাত্র অ্যাম্বুলেন্স সেটাও চলার পথে মুখথুবড়ে পড়ে।

এতে প্রতিনিয়ত রোগীদের পড়তে হয় বিপাকে।

এদিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ঘুরে দেখা যায়, পর্যাপ্ত জনবলের অভাবে রোগীরা কাঙ্ক্ষিত সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। গোটা হাসপাতাল জুড়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে রোগীর ব্যবহারিত গজ ব্যান্ডেজসহ ময়লা আর্বজনা। এতে র্দুগন্ধে রোগীরা টিকতে পারছেন না হাসপাতালে। এছাড়া হাসপাতালে কর্মরত কর্মচারী এবং রোগীদের মধ্যে স্বাস্থ্য সচেতনতা না থাকার কারণে করোনা ঝুঁকির মধ্যে মাস্কবিহীন অবস্থায় চলছে সকল কার্যক্রম।

শার্শা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সূত্রে জানা যায়, হাসপাতালটিতে জুনিয়র কনসালটেন্ট’র ১০টি পদের মধ্যে সব কয়টি শূন্য। মেডিকেল অফিসারের ১০টির মধ্যে আছে মাত্র ৩টি। ফলে সকাল ৯টায় আসা রোগী দুপুর পর্যন্ত পাচ্ছে না স্বাস্থ্য সেবা। এছাড়া বিগত প্রায় ১২ বছর ধরে  স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের একমাত্র অ্যাম্বুলেন্সটি চলার পথে মুখ থুবড়ে পড়ে। এতে প্রতিনিয়ত রোগীদের পড়তে হয় বিপাকে।

শার্শা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অ্যাম্বুলেন্স চালক মুহাম্মদ সাদেক হোসেন জানান, দীর্ঘ প্রায় ১২ বছর ধরে আমি একাই এই অ্যাম্বুলেন্সটি চালিয়ে আসছি। এই অ্যাম্বুলেন্সটি জরাজীর্ণ অবস্থায় চলছে। ফলে প্রতিনিয়ত রোগীদের বহনের সময় পথের মধ্যে অ্যাম্বুলেন্সটি নষ্ট হয়ে যায়। এতে করে এখান থেকে রেফারকৃত রোগী ঠিক সময়মতো নির্দিষ্ট হাসপাতালে নেওয়া যায় না।

সেবা নিতে আসা এক রোগীর স্বজন আছমা খাতুন বলেন, ‘আমরা সকাল ৯টার সময় এসেছি এখন দুপুর ১টা বাজে কিন্তু এখনও পর্যন্ত আমার রোগী কোনো সেবা পায়নি। জানিনা কখন আমাদের সেই কাঙ্ক্ষিত সেবাটি পাবো। ’ এমনই আক্ষেপ করেন তিন।

এদিকে আরো কয়েকজন রোগীর স্বজনরা জানান, আমাদের এই শার্শা উপজেলায় এটিই একমাত্র স্বাস্থ্য কেন্দ্র। এখানে জরুরিভিত্তিতে রোগী নিয়ে আসলে ডাক্তার সংকটের কারণে ঠিকমতো কাঙ্ক্ষিত সেবাটি আমরা পাই না।

শার্শা উপজেলার স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. ইউসুফ আলী জানান, আমাদের জনবল কম থাকায় রোগীদের সেবায় কিছুটা বিঘ্ন ঘটছে। এছাড়া দীর্ঘদিন ধরে চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী নিয়োগ বন্ধ রয়েছে। আমাদের চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীও কম রয়েছে। এজন্য আমাদের স্বাস্থ্য কেন্দ্র কিছুটা অপরিষ্কার রয়েছে। ইতোমধ্যে আমরা উর্ধতন কর্মকর্তাদের বিষয়টি অবহিত করেছি। আশা করছি খুব দ্রুত এসব সমস্যার সমাধান হবে।

বাংলাদেশ সময়: ০৫০৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০১, ২০২০
এমকেআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।