ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

আদিতমারীতে সদ্য বরখাস্ত হওয়া উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানকে শোকজ 

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২০১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১, ২০২০
আদিতমারীতে সদ্য বরখাস্ত হওয়া উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানকে শোকজ  ফারুক ইমরুল কায়েস

লালমনিরহাট: আনিত অভিযোগ সত্য প্রমাণিত হওয়ায় সদ্য বরখাস্ত হওয়া লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফারুক ইমরুল কায়েসকে কারণ দর্শানোর নোটিশ (শোকজ) করেছে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়।

মঙ্গলবার (১ ডিসেম্বর) বিকেলে নোটিশের অনুলিপি পাওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করেন আদিতমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মুহাম্মদ মনসুর উদ্দিন।

 

এর আগে সোমবার (৩০ নভেম্বর) স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দীন আহমেদ ৪৬.০০.০০০০.০৪৬.২৭.০৩৬.২০২০-৯৫৮ স্মারকে কারণ দর্শানো নোটিশ পাঠান।

একই দিন একই বিভাগের পৃথক স্মারকে উপসচিব নুমেরী জামান প্রজ্ঞাপন জারি করে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ফারুক ইমরুল কায়েসকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করেন।

স্থানীয় সরকার বিভাগের কারণ দর্শানো নোটিশে বলা হয়, আদিতমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মুহাম্মদ মনসুর উদ্দিনের সঙ্গে অসদাচরণ, অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ ও হুমকি দেওয়াসহ আর্থিক বিষয়ে অনৈতিক দাবি আদায়ের চেষ্টা করেন উপজেলা পরিষদের সদ্য বরখাস্ত চেয়ারম্যান ফারুক ইমরুল কায়েস। একইসঙ্গে তার বিরুদ্ধে আনিত উপজেলা পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা নুরেলা আখতারের সঙ্গে অশোভন আচরণ প্রদর্শনের অভিযোগের সত্যতা পেয়েছে মন্ত্রণালয়। তাই উক্ত পদ থেকে কেন তাকে অপসারণ করা হবে না মর্মে চিঠি পাওয়ার সাত কার্যদিবসের মধ্যে কারণ দর্শানোর নোটিশের জবাব দিতে বলা হয়েছে। একইসঙ্গে ব্যক্তিগত শুনানিতে অংশ নিতে চেয়ারম্যান ইচ্ছুক কি না তা জানাতেও বলা হয়েছে কারণ দর্শানো নোটিশে।  

স্থানীয় সরকার বিভাগের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, আদিতমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মুহাম্মদ মনসুর উদ্দিনসহ ১৮ জন কর্মকর্তার লিখিত অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ৬টি বিষয়ে অভিযুক্ত করে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ফারুক ইমরুল কায়েসকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। এ জন্য ৪৬.০০.০০০০.০৪৬.২৭.০৩৬.২০২০-৯৪৮ স্মারকে প্রজ্ঞাপন জারি করেন স্থানীয় সরকার বিভাগের উপসচিব নুমেরী জামান।

বরখাস্ত হওয়া চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে স্থানীয় সরকার বিভাগের অভিযোগগুলো হলো- আদিতমারী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ফারুক ইমরুল কায়েসের বিরুদ্ধে অসদাচরণ, দুর্ব্যবহার, অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ ও হুমকি দিয়েছেন বলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মুহাম্মদ মনসুর উদ্দিন অভিযোগ দায়ের করেন। ফারুক ইমরুল কায়েস উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে উপজেলা পরিষদের বিভিন্ন দফতরে আর্থিক বিষয়ে অনৈতিক দাবি আদায়ের চেষ্টা করেন। উপজেলা পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা নুরেলা আখতারের সঙ্গে অশোভন আচরণ করেন। চেয়ারম্যানের এহেন কর্মকাণ্ডে উপজেলার কর্মকর্তা কর্মচারীদের মধ্যে হতাশা ও ক্ষোভের সৃষ্টি হয়ে জনস্বার্থ বিঘ্নিত হতে পারে। চেয়ারম্যানের এহেন কার্যকলাপ রাষ্ট্র বা উপজেলা পরিষদের স্বার্থের পরিপন্থী। বিধায় চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে উপজেলা পরিষদ আইন ১৯৯৮ সালের এবং সংশোধিত আইন ২০১১ এর ১৩(খ)(১) ধারা অনুসারে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান পদ থেকে ফারুক ইমরুল কায়েসকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। উক্ত পদে সব কার্যক্রমসহ আর্থিক ক্ষমতা দেওয়া হয় উপজেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যানকে।

প্রজ্ঞাপন মূলে মঙ্গলবার (১ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের ভারপ্রাপ্ত দায়িত্ব গ্রহণ করেন প্যানেল চেয়ারম্যান উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান চিত্তরঞ্জন সরকার। তিনি উপজেলা পরিষদের বিশেষ মাসিক সমন্বয় সভায় সভাপতি হিসেবে অংশগ্রহণ করেন।  

**আদিতমারী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পেলেন চিত্তরঞ্জন

বাংলাদেশ সময়: ২১৫৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০১, ২০২০
আরএ 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।