হবিগঞ্জ: হবিগঞ্জ শহরের ‘সিহাব রেস্ট হাউজে’ আলমগীর মিয়া (৪০) নামে এক ব্যক্তি বিষক্রিয়ায় মারা যাওয়ার রহস্য উদঘাটন হয়েছে। হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন নিহতের চতুর্থ স্ত্রী তানিয়া আক্তার।
মঙ্গলবার (১ ডিসেম্বর) দিনগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে হবিগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাসুক আলী বাংলানিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এর আগে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তৌহিদুল ইসলামের আদালতে তানিয়া ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।
নিহত আলমগীর সদর উপজেলার সুলতান মাহমুদপুর গ্রামের আব্দুর রহিমের ছেলে ও তার স্ত্রী তানিয়া বানিয়াচং উপজেলার ইকরাম গ্রামের লুৎফুর রহমানের মেয়ে। স্বামীকে মদের সঙ্গে বিষপান করিয়ে হত্যার বর্ণনা দিয়েছেন তানিয়া।
পুলিশ জানায়, তারা দু’জন গত ২৩ জুলাই হবিগঞ্জ শহরের সিহাব রেস্ট হাউজের একটি কক্ষ ভাড়া করে রাতে থাকেন। সকালে হঠাৎ ওই নারী হোটেল ম্যানেজারকে জানান, তার স্বামী অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। পরে তাকে হবিগঞ্জ আধুনিক জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে দায়িত্বরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। সেখানে কান্নার অভিনয় করেন নিহতের স্ত্রী। এরপর আলমগীরের বাবা থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরে পুলিশ তানিয়াকে হাসপাতাল থেকে গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠান।
স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দির বরাত দিয়ে সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাসুক আলী জানান, তারা দু’জনই বিবাহিত। তানিয়া আলমগীরের চতুর্থ স্ত্রী। শ্বশুরবাড়ি থেকে মর্যাদা না পাওয়ার ক্ষোভে স্বামীকে হত্যার পরিকল্পনা করেন তানিয়া। পরিকল্পনা অনুযায়ী, হোটেলে উঠে মদের সঙ্গে আলমগীরকে কৌশলে বিষপান করান তিনি। পরে হাসপাতাল থেকেই তিনি গ্রেফতার হন এবং রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবদ করলে স্বামীকে হত্যার কথা স্বীকার করেন। আদালত স্বীকারোক্তি গ্রহণের পর তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন।
বাংলাদেশ সময়: ০২৩৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০২, ২০২০
আরবি/