ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

শান্তিচুক্তি বাস্তবায়নে অভিযোগ নয়, আলোচনায় সমাধান

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫২৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২, ২০২০
শান্তিচুক্তি বাস্তবায়নে অভিযোগ নয়, আলোচনায় সমাধান বক্তব্য রাখছেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং

ঢাকা: পাবর্ত্য শান্তিচুক্তি বাস্তবায়নে কোনো সমস্যা হলে অভিযোগ না করে আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করার আহ্বান জানিয়েছেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং।

তিনি বলেন, ‘আমাদের লক্ষ্য শান্তি এবং উন্নয়ন।

আমরা যারা শান্তি চাই, হাতে হাত লাগিয়ে, ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করছি। পার্বত্য শান্তিচুক্তি বাস্তবায়নে অভিযোগ বা দোষারোপ নয়, কোন জায়গায় বাধা আছে এবং সমস্যা হলে কীভাবে সমাধান করা যায়, সেটি দেখতে হবে। এজন্য একটি কমিটিও আছে। এ ধরনের সমস্যা হলে কমিটি কীভাবে দ্রুত সমাধান করতে পারে সেটি দেখবে। সমস্যা যেমন আছে সমাধানও আছে। ’

বুধবার (২ ডিসেম্বর) পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তিচুক্তির ২৩তম বর্ষপূর্তিতে মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

বীর বাহাদুর উশৈসিং বলেন, ‘পার্বত্য অঞ্চলে যে শান্তিচুক্তি হয়েছে সেটি আজ ২৩ বছরে পদার্পণ করলো। শান্তি চুক্তিতে ৭২টি ধারা ছিল, তার মধ্যে আমরা ৪৮টি ধারা পরিপূর্ণ বাস্তবায়ন করেছি, ১৫টি ধারা আংশিক হয়েছে, আর ৯টি ধারা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো ভূমি। ২০১৭ সালে সংশোধিত আকারে সংসদে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে ভূমি কমিশন আইন পাস করেছি। ফলে ভূমি সংক্রান্ত বিরোধ নিষ্পত্তি করার কাজটি করতে আমাদের কয়েকবার চেয়ারম্যান পরিবর্তন করতে হয়েছে। আমরা এরইমধ্যে কাজ করছি। এতো ভূমি নিষ্পত্তির জন্য কিছু বিধি বিধান, আইন কানুনের বিষয় আছে। তাই আমরা ভূমি মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সাক্ষাত করেছি। ভূমি মন্ত্রণালয় এটি নিয়ে কাজ করছে। ’

তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর সুযোগ্য নেতৃত্বে ১৯৯৭ সালে ২ ডিসেম্বর ঐতিহাসিক শান্তি চুক্তি স্বাক্ষর হওয়ার পর হতে অশান্ত পার্বত্য চট্টগ্রামের উন্নয়নের পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। পার্বত্য চট্টগ্রামের আয়তন প্রায় ১৩ হাজার ২৯৫ বর্গ কিলোমিটার। এ অঞ্চলের লোকসংখ্যা প্রায় ১৬ লাখ। চাকমা, মারমাসহ অনেক আদিবাসী বাস করে। বিগত ১০ বছরে পার্বত্য অঞ্চলের যুবকদের শিক্ষাসহ বিভিন্ন উন্নয়ন হয়েছে। ’

বীর বাহাদুর উশৈসিং আরও বলেন, ‘অঞ্চলভিত্তিক পরিকল্পনার মাধ্যমে পার্বত্য অঞ্চলের সামগ্রিক উন্নয়নের জন্য ১৯৭৩ সনেই বঙ্গবন্ধু একটি আলাদা বোর্ড গঠনের নির্দেশ দিয়েছিলেন, যা তৎকালীন ভূমি প্রশাসন ও ভূমি সংস্কার মন্ত্রী জনাব আব্দুর রব সেরনিয়াবাত রাঙামাটি সার্কিট হাউজে সমাবেশে ১৯৭৩ সালের ৯ আগস্ট ঘোষণা দিয়েছিলেন। ১৯৭৫ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি রাঙামাটির বিশাল জনসভায় বঙ্গবন্ধু জাতীয় সংখ্যালঘুদের অধিকার অবশ্যই রক্ষা করা হবে। মর্মে প্রতিশ্রুতি দিয়ে এ অঞ্চলের উন্নয়নে নানা কর্মসূচি ঘোষণা দেন। ’

তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুই প্রথমবারের মতো পার্বত্য চট্টগ্রামের আদিবাসী ছাত্র-ছাত্রীদের মেডিক্যাল, প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় এবং পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে কোটার সুযোগ করে দেন। প্রজাতন্ত্রের কর্মচারি নিয়োগের ক্ষেত্রে তার সমাজভিত্তিক সুযোগ সৃষ্টিতে বঙ্গবন্ধুর সরকার ১৯৭২ সালের সেপ্টেম্বরে কোটাভিত্তিক পদ সংরক্ষণের নীতিমালা সমর্থন করেন। সেখানে আদিবাসীদের জন্য ৫ শতাংশ কোটা নির্ধারিত হয়। ’

বাংলাদেশ সময়: ১৫২৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০২, ২০২০
জিসিজি/এফএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।