ঢাকা: হেফাজত ও তাদের মিত্ররা মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী অন্ধকারের অপশক্তি বলে মন্তব্য করেছে বাংলাদেশ যুব মৈত্রী।
শনিবার (৫ ডিসেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে যুব মৈত্রীর উদ্যোগে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য নিয়ে আস্ফালন ও দেশকে অস্থিতিশীল করার ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে অনুষ্ঠিত প্রতিবাদ সমাবেশে থেকে এ মন্তব্য করা হয়।
সমাবেশে সংগঠনের সভাপতি সাব্বাহ আলী খান কলিন্স সভাপতিত্ব করেন। বক্তব্য রাখেন- ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মুতাসিম বিল্লাহ সানি, সহ-সভাপতি তৌহিদুর রহমান তৌহিদ, কায়সার আলম, সহ-সাধারণ সম্পাদক তাপস দাস, কোষাধাক্ষ্য কাজী মাহমুদুল হক সেনা, দপ্তর সম্পাদক মিজানুর রহমান, কেন্দ্রীয় সদস্য কালাম খান, ওমর ফারুক সুমন, টিপু সুলতান, মানিক হাওলাদার, জামিরুল রহমান ডালিম প্রমুখ।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, ভাস্কর্য ও মূর্তি নিয়ে চতুরতার সঙ্গে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র লিপ্ত রয়েছে। হেফাজত ও তাদের মিত্ররা মুক্তিযুদ্ধের বিরোধী অন্ধকারের অপশক্তি। এই অপশক্তি ৭১ এর মুক্তিযুদ্ধে পরাজিত হলেও বাংলাদেশের ৫০ বছরপূর্তির প্রাক্কালে এরা প্রতিশোধপ্রবণ হয়ে উঠেছে। পাকিস্তানি ভাবাদর্শে লালিত-পালিত হেফাজতকে সামনে রেখে জামাত-বিএনপিসহ সব সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠী একাট্টা হয়ে নেমেছে।
বক্তারা আরও বলেন, বর্তমান সরকার ও তার দল বিভিন্ন সময়ে হেফাজতকে আস্কারা দিয়েছে, তাদের দাবি-দাওয়া মেনে নিয়েছে। সরকার দলীয় অনেক নেতার হাতে প্রকাশ্যে ফুল দিয়ে জামাত-শিবির নেতা-কর্মীদের সরকারী দলে যোগদান, দেশবাসী প্রত্যক্ষ করেছে। বঙ্গবন্ধুকে কটাক্ষ এবং ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতে সংবিধান লঙ্ঘন ও গ্রেফতারের বিধান থাকলেও হেফাজত নেতাদের গ্রেফতার করা হচ্ছে না।
যুব মৈত্রীর নেতারা বলেন, সরকারকে এখনই হেফাজত নিয়ে তাদের অবস্থান স্পষ্ট করতে হবে। অন্যথায় হেফাজত নামের এই দানব মুক্তিযুদ্ধের সব অর্জনকে নস্যাৎ করে দিবে।
যুব মৈত্রীর সমাবেশ থেকে যারা বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য নিয়ে আস্ফালন দেখাচ্ছে তাদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন বক্তারা। পাশাপাশি এই অপশক্তির বিরুদ্ধে বাংলাদেশ যুব সমাজ ও সাধারণ মানুষকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানানো হয়।
বাংলাদেশ সময়: ০৪২০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৬, ২০২০
আরকেআর/এমআরএ