মাদারীপুর: সকাল সাতটা থেকে প্রায় পৌনে দশটা পর্যন্ত ঘন কুয়াশার আস্তরণে ঢাকা পড়েছিল বাংলাবাজার-শিমুলিয়া নৌরুটসহ পথঘাট। নৌপথে সামান্য দূরত্বও দেখা না যাওয়ায় ভোর থেকে লঞ্চ ও স্পিডবোট চলাচল বন্ধ রেখেছিল কর্তৃপক্ষ।
এদিকে, রাজধানী ঢাকার উদ্দেশ্যে দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন জেলা থেকে আসা যাত্রীরা পদ্মাপার হতে না পেরে বাংলাবাজার ঘাটে বিপাকে পড়েছেন। এছাড়া ফেরি চলাচল রাত ২ টা থেকেই বন্ধ থাকায় বিকল্প কোনো উপায় ছিল না অপেক্ষা ছাড়া। লঞ্চ ও স্পিডবোট টার্মিনালে বাড়তে থাকে ঢাকাগামী যাত্রীদের ভিড়, অপেক্ষা কুয়াশা কেটে যাওয়ার।
সকাল পৌনে দশটার পর থেকে কুয়াশা ভেদ করে সূর্যের দেখা মিললে স্বস্তি নেমে আসে যাত্রীদের মাঝে। ব্যস্ত হয়ে উঠে লঞ্চ ও স্পিডবোট চালক-শ্রমিকেরাও।
লঞ্চঘাট সূত্রে জানা যায়, সকাল থেকে ঘন কুয়াশার কারণে দিক নির্ণয়ে ব্যর্থ হওয়ায় নৌরুটের সব লঞ্চ বন্ধ রাখা হয়। সকাল পৌনে দশটার দিকে কুয়াশা কেটে যেতে থাকলে লঞ্চে যাত্রী উঠানো শুরু হয়। দীর্ঘ সময় ঘাটে বসে থাকা যাত্রীদের মধ্যে চাঞ্চল্যতা ফিরে আসে। নৌযানে উঠতে যেন প্রতিযোগিতা শুরু হয়। ঘাট থেকে বেশ কয়েকটি লঞ্চ যাত্রী নিয়ে একসাথে বাংলাবাজার ঘাট ছেড়ে যায়। '
স্পিডবোট ঘাট সূত্র জানিয়েছে,'কুয়াশা কাটতে থাকলেই স্পিডবোটে যাত্রীদের উঠানো হয়। রোদ দেখা দিলে ঘাট ছাড়তে শুরু করে স্পিডবোটগুলো। অনেকক্ষন বন্ধ থাকার কারণে যাত্রীদের ভিড় রয়েছে ঘাটে। '
যাত্রীদের সঙ্গে আলাপ করলে তারা জানান, 'ভোরে খুব একটা কুয়াশা ছিল না। স্বাভাবিক দিনের মতোই ছিল। এজন্য ঢাকা যাওয়্র উদ্দেশ্যে যাত্রীরা বাড়ি থেকে বের হয়। কিন্তু ঘাটে আসার পরপরই হঠাৎ করে কুয়াশা বাড়তে থাকে। প্রচুর কুয়াশায় ঢাকা পড়ে পথঘাট। ঘাটে আটকে থাকতে হয় প্রায় তিনঘণ্টার মতো। সকাল সাড়ে ৯টার পর থেকে কুয়াশা কাটতে শুরু করলে নৌযান ছাড়ার প্রস্তুতি নেয় কর্তৃপক্ষ। প্রচুর যাত্রী ঘাটে আটকে থাকায় বেশ ভিড় হয়েছে নৌযানে। '
শিবচর থেকে আসা শিক্ষক আজিজুল হক জানান, 'কুয়াশা কেটে যাওয়ায় স্বস্তি দেখা দিয়েছে সবার মাঝে। অপেক্ষার ক্লান্তি বেশ কষ্টকর। '
বিআইডব্লিউটিএ'র বাংলাবাজার লঞ্চ ঘাটের ট্রাফিক ইন্সপেক্টর আক্তার হোসেন বলেন,' কুয়াশা কমতে থাকায় সকাল দশটার পর থেকে লঞ্চ-স্পিডবোট, ফেরি চলাচল শুরু হয়েছে। '
বাংলাদেশ সময়: ১০৫০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৭, ২০২০
ওএইচ/