খুলনা: খুলনার দাকোপ চালনার মুকুল চন্দ্র রায়ের বিরুদ্ধে সম্পত্তি দখলের অভিযোগ করেছেন তার ভাইয়ের মেয়ে লাবনী রায়।
সোমবার (৭ ডিসেম্বর) দুপুরে খুলনা প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত এক সাংবাদিক সম্মেলনে লাবনী রায় ও তার পরিবারের সদস্যরা এ দাবি করেন।
এসময় লিখিত বক্তব্যে লাবনী রায় বলেন, চিহ্নিত সন্ত্রাসী ভূমি দস্যু মুকুল চন্দ্র রায় আমার আপন জ্যাঠা (চাচা)। তিনি আমার বাবাকে দাদুর অনেক সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত করেছেন। বাকি যে সম্পত্তি আমার বাবা পেয়েছেন, তাও জোর করে লিখে নিতে চায় আমার জ্যাঠা। চালনা পৌরসভার মধ্যে আমাদের ১৫ কাঠার একটি জায়গা আছে, যে জায়গাটির প্রায় ১৩ থেকে ১৪ কাঠা আমার জ্যাঠা ও জ্যাঠার ছেলেরা জোর করে দখল করে রেখেছেন এবং সেখানে মাদকের ব্যবসা ও জুয়ার আসর বসিয়ে রেখেছেন।
তিনি বলেন, বাকি যে ১/২ কাঠা জায়গায় আমাদের দোকান ঘর ও বাড়ি আছে, সেই জায়গা জ্যাঠা ও তার ছেলেরা তাদের ভাড়াটিয়া মাস্তান দিয়ে আমাদেরকে মারধর ও হুমকি দেখিয়ে নিয়ে নিতে চান। আমার বাবার অসুস্থতার সুযোগ নিয়ে এবং আমাদের পরিবারের অনুপস্থিতিতে আমাদের জমি আমার বাবা সেজে অনত্র লিজ দিয়ে ছলনা করে টাকা হাতিয়ে নেয়।
লাবনী রায় অভিযোগ করে বলেন, স্থানীয় প্রভাবশালী মহলের ছত্রছায়ায় থেকে আমার জাঠ্যা (চাচা) ও তার ছেলে চিন্ময় রায় ও হিরন্ময় রায় আমার পরিবারের উপর অত্যাচার, নির্যাতন ও মিথ্যা মামলা করে আসছেন। তারা আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে সমাজে চলাচল করছে। আমার বড় ভাইকে হুমকি ও মারধর করে দেশ ছাড়া করেছেন সম্পত্তি নিয়ে নেওয়ার জন্য। এখন আমি সম্পত্তি দেখাশোনা করি ও আমার জ্যাঠাকে সম্পত্তি দখল করে নিতে বাধা দেওয়ায় আমাকে বারবার হামলার শিকার হতে হচ্ছে।
তিনি বলেন, আমার জ্যাঠা তার লোকজন দিয়ে আমার উপর দুইবার হামলা করে। আমার মাথায় আঘাত করে ও হাত ভেঙ্গে দেয়। হামলার প্রেক্ষিতে আমি চলতি বছরের ২৯ অক্টোবর মামলা করেছি। দাঙ্গাবাজদের অত্যাচার ও নির্যাতন থেকে আমার পরিবারসহ এলাকায় নিরাপদে যেন বসবাস করতে পারি সেজন্য প্রশাসনের সহযোগিতা প্রত্যাশা করছি।
এসময় সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন লাবনী রায়ের বাবা পরিমল কান্তি রায় (অনির্মল রায়) ও মা অর্চনা রায়।
পরবর্তীতে এ অভিযোগের বিষয়ে লাবনী রায়ের চাচা মুকুল চন্দ্র রায়ের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বাংলানিউজকে বলেন, এমন কিছু হয়নি তাদের সাথে। তারা যে অভিযোগ দিয়েছে, তা মিথ্যা ও বানোয়াট।
বাংলাদেশ সময়: ১৪২২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৭ , ২০২০
এমআরএম/এইচএমএস