ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়: মোটরসাইকেল ও মাইক্রোবাসের মধ্যে হালকা সংঘর্ষের জেরে মাইক্রোবাস চালককে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে আটকিয়ে মারধর ও চাঁদা দাবির অভিযোগ উঠেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের এক নেতার বিরুদ্ধে।
সোমবার (৭ ডিসেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের কবি জসীমউদ্দীন হলের অভ্যন্তরে এ ঘটনা ঘটে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, সোমবার দুপুরে ধানমন্ডি কলাবাগান এলাকায় ইউটার্ন নিতে গিয়ে পাপ্পুর মোটরসাইকেল (ঢাকা মেট্রো ল ৪৩-৯০৮৫) মাইক্রোবাসের (ঢাকা মেট্রো গ ২৩ ৩৩৪১) সঙ্গে হালকা ধাক্কা লাগে। এতে মাইক্রোবাসের জানালার গ্লাস ভেঙে যায় একইসঙ্গে মোটরসাইকেল চালকের হাত কেটে যায়। মোটরসাইকেল চালক প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে কৌশলে মাইক্রোবাস চালক মোস্তফা ও তার সহযোগীকে গাড়িসহ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে নিয়ে আসেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের কবি জসীমউদ্দীন হলের দোকানের সামনে মাইক্রোবাস চালককে মারধর করে মালিকের কাছে পাঁচ লাখ টাকা দাবি করা হয়। কিন্তু মালিক হাসান ফোন পেয়ে টাকা ছাড়া গাড়ি ছাড়িয়ে নিতে এলে তাকেও মারধর করা হয়। পরবর্তীতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন গাড়িসহ সংশ্লিষ্টদের শাহবাগ থানায় নিয়ে যায়। পরে ছাত্রলীগ নেতাদের হস্তক্ষেপে উভয় পক্ষ সমঝোতা করে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মাইক্রোবাস মালিক হাসান বাংলানিউজকে বলেন, ‘সকালে মাল দিয়ে আসার সময় আমার গাড়িটার পেছন দিক থেকে বাইক লাগায় দিসে। পরে ড্রাইভার দিয়ে আমাকে ফোন করাইছে। বলে পাঁচ লাখ টাকা দেন। আমি যখন আসছি তখন আমাকেও সবার সামনে মারছে। ’
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে পাপ্পু বাংলানিউজকে বলেন, আমাদের মধ্যে থানায় গিয়ে সমঝোতা হয়েছে। আমরা কাউকে মারিনি।
শাহবাগ থানার ডিউটি অফিসার কামাল উদ্দীন বলেন, গাড়িসহ উভয়পক্ষকে থানায় নিয়ে আসা হয়েছিল। তাদের মধ্যে সমঝোতা হওয়ায় ছেড়ে দিয়েছি।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৭, ২০২০
এসকেবি/এমআরএ