মৌলভীবাজার: মৌলভীবাজারে দশম শ্রেণির স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে নাঈম আহমদ (২২) নামে এক বখাটে যুবককে পুলিশে দিয়েছে এলাকাবাসী।
সোমবার (৭ ডিসেম্বর) দুপুরে এলাকাবাসী অভিযুক্ত ওই বখাটে যুবককে মৌলভীবাজার মডেল থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেন।
ভুক্তভোগী জৎগসী জি.কে.এম সাইফুর রহমান স্কুল অ্যান্ড কলেজের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী। বর্তমানে সে মৌলভীবাজার সদর ২৫০ শয্যা হাসপাতালের গাইনি ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
পুলিশ সূত্র জানায়, গত ৫ ডিসেম্বর সকাল ৮টার দিকে মৌলভীবাজার সদর উপজেলার মোস্তফাপুর ইউনিয়নের গয়ঘড় গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে প্রাইভেট পড়তে বের হয় ওই ছাত্রী। পথে বখাটে নাঈম আহমদ (২২) তার পথ রোধ করে নাম পরিচয় জানতে চান। একপর্যায়ে তার মুখ চেপে ধরে পাশের নির্জনস্থানে নিয়ে জোড়পূর্বক ধর্ষণের চেষ্টা চালান নাঈম।
পরে কৌশলে ধর্ষক নাঈমের হাত থেকে ওই শিক্ষার্থী মুক্ত হয়ে পাশের রাস্তায় হারুনুর রশীদ নামে এক ব্যক্তিকে পেয়ে বিষয়টি জানায়। এ সময় ওই ব্যক্তি তাকে তার বান্ধবীর বাবা জাহিদ মিয়ার বাড়িতে নিয়ে যান। সেখানে উপস্থিত লোকজন অভিযুক্তকে চিহ্নিত করতে মোবাইল ফোনে কিছু ছেলের ছবি দেখালে সে ছেলেটিকে শনাক্ত করতে সক্ষম হয়।
জানা গেছে, এ ঘটনা ধামাচাপাসহ নানা নাটকীয়তার পর বিষয়টি নিষ্পত্তি করতে এলাকায় সালিশি বৈঠক বসে। তবে জগৎসী স্কুলের শিক্ষার্থীরা সালিশি বৈঠক নিয়ে আপত্তি তুললে অবশেষে তাদের চাপের মুখে অভিযুক্ত নাঈমকে পুলিশে সোপর্দ করা হয়।
মৌলভীবাজার সদর ২৫০ শয্যা হাসপাতালের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার (আরএমও) ডা. আহমেদ ফয়সল জামান বলেন, বর্তমানে ওই স্কুল শিক্ষার্থী হাসপাতালের গাইনি ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন আছে। তার অবস্থা সুস্থতার দিকে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে মৌলভীবাজার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইয়াছিনুল হক বাংলানিউজকে বলেন, ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগে আটক করা বখাটে নাঈমের বিরুদ্ধে মামলাসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ২১৩৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৭, ২০২০
বিবিবি/এমআরএ