মৌলভীবাজার: প্রায় এক বছর ধরে বাংলাদেশের ১৫৬টি চা বাগানে চা শ্রমিকের সাংস্কৃতিক জীবন নিয়ে গবেষণা করেছে সোসাইটি এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড হিউম্যান ডেভেলপমেন্ট (সেড)। গবেষণাটি গ্রন্থ আকারে সম্প্রতি তারা প্রকাশ করেছে।
মঙ্গলবার (৮ ডিসেম্বর) শ্রীমঙ্গলের ব্র্যাক লার্নিং সেন্টারে দিনব্যাপী জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচির (ইউএনডিপি)উদ্যোগে ডাইভারসিটি ফর পি’র সহায়তায় বইটির প্রকাশনাসহ সেড চা শ্রমিকদের সাংস্কৃতিক জীবন নিয়ে একটি তথ্যচিত্র প্রদর্শনী এবং নারীর প্রতি সহিংসতা: সমাধানে ১৬ দিনের প্রচারাভিযান নিয়ে আলোচনায় হয়।
প্রকাশনা অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সেড এর পরিচালক ফিলিপ গাইন।
আলোচক হিসেবে অংশ নেন বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের (বিসিএসইউ)সাধারণ সম্পাদক এবং কমলগঞ্জ উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান রামভজন কৈরী, শ্রীমঙ্গল উপজেলা নারী ভাইস চেয়ারম্যান মিতালী দত্ত, হবিগঞ্জের নাট্যকর্মী ও পরিবেশকর্মী তোফাজ্জল সোহেল, প্রতীক থিয়েটারের সভাপতি সুনীল বিশ্বাস, সাংস্কৃতিক সংগঠক পরিমল সিং বাড়াইক, বিসিএসইউ জুড়ী ভ্যালির সহ-সভাপতি শ্রীমতি বাউরি প্রমুখ।
আলোচনা থেকে জানা যায়, বাংলাদেশের মৌভীবাজার, সিলেট, হবিগঞ্জ, চট্টগ্রাম ও রাঙামাটি জেলাগুলোতে ১৬০টি চা বাগান সবার নজর কাড়ে। এসব চা বাগানে লাখের অধিক নারী-পুরুষ শ্রম দিয়ে চলেছেন। তাদের পরিবারের সদস্যের সংখ্যা প্রায় পাঁচ লাখের মতো। সেডের গবেষণা অনুযায়ী বাংলাদেশের চা বাগানগুলোতে ৮০টির মতো ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী। এগুলোর মধ্যে মাত্র ২৩টি বাংলাদেশ সরকারের ২০১৯ সালের সংশোধিত ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী তালিকায় স্থান পেয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২১৪৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৮, ২০২০
বিবিবি/এএ