ঢাকা: জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের অনুমোদন ব্যতীত বেসামরিক গেজেটভুক্ত মুক্তিযোদ্ধাদের যাচাই-বাছাই কার্যক্রম আগামী ১৯ ডিসেম্বর স্ব স্ব উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়/মহানগরের ক্ষেত্রে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হবে।
বুধবার (৯ ডিসেম্বর) মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য কর্মকর্তা সুফি আব্দুল্লাহিল মারুফ স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়েছে, জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল আইন, ২০০২-এর ধারা ৭(ঝ) ব্যত্যয় ঘটিয়ে জামুকার অনুমোদন ব্যতীত যেসব বেসামরিক গেজেট প্রকাশিত হয়েছে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা প্রকাশের অংশ হিসেবে সেসব বেসামরিক গেজেট আগামী ১৯ ডিসেম্বর যাচাই-বাছাই করা হবে।
এদিন সকাল ১০টায় উপজেলা পর্যায়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয় ও মহানগর পর্যায়ে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে যাচাই-বাছাই কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হবে।
গত ৩ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের (জামুকা) ৭১তম সভায় এ যাচাই-বাছাইয়ের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
যাচাইয়ের আওতাভুক্ত তালিকা ও এ সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইট (www.molwa.gov.bd) এবং জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের ওয়েবসাইটে (www.jamuka.gov.bd) পাওয়া যাবে।
এ ধরনের গেজেটভুক্ত মুক্তিযোদ্ধাদের কমপক্ষে তিনজন ভারতীয়/লাল মুক্তিবার্তা তালিকাভুক্ত সহযোদ্ধা/সহ-প্রশিক্ষণ গ্রহীতা সাক্ষী ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র উপস্থাপন করতে বলা হয়েছে।
কোনো ব্যক্তি বাংলাদেশের অভ্যন্তরে প্রশিক্ষণ নিয়ে থাকলে তিনি কোন যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছেন তা তিনজন ভারতীয়/লাল মুক্তিবার্তা তালিকাভুক্ত সহ-মুক্তিযোদ্ধার মাধ্যমে প্রমাণ করতে হবে। ভারতীয়/লাল মুক্তিবার্তা তালিকাভুক্ত মুক্তিযোদ্ধাদের উপস্থিতিতে এ যাচাই-বাছাই কার্যক্রম সম্পন্ন করতে হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১০১৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৯, ২০২০
ডিএন/আরবি