পাবনা (ঈশ্বরদী): পৌষ মাস আসতে কয়েকদিন বাকি রয়েছে। ঈশ্বরদীতে রাতে পড়েছে ঘন কুয়াশা আর দিনে সূর্যের দেখা মেলেনি, এতে বেড়েছে শীতের তীব্রতা।
শীতে স্বাভাবিক কাজকর্মে বাধাগ্রস্ত হওয়াতে বেকায়দায় পড়েছেন দিন আনা দিন খাওয়া কর্মজীবী ও শ্রমজীবী মানুষরা। খুব প্রয়োজন ছাড়া কেউ ঘর থেকে বের হচ্ছেন না। হঠাৎ শীত পড়ার কারণে বিপাকে পড়েছে শিশুসহ বয়স্করা।
বুধবার (৯ ডিসেম্বর) সকাল ৯ টায় ঈশ্বরদীতে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৬ দশমিক ০৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তবে ঘড়ির কাঁটায় পৌনে ১০ টা বাজলেও ঘনকুয়াশার কারণে ঈশ্বরদীর আকাশে সূর্যের দেখা মেলেনি।
ডিসেম্বরের শুরুতে ঘন কুয়াশা থাকলেও যেন মাঘের মত শীত পড়েছে। রাতভর টুপটাপ শব্দে বৃষ্টির মতো কুয়াশা ঝরছে। আর সকালে কনকনে শীত। কনকনে ঠাণ্ডায় কাজে যেতে না পেরে মানবেতর জীবনযাপন করছেন নিম্ন আয়ের মানুষজন। আবার অনেকে কাজের সন্ধানে বের হয়েও কাজ না পেয়ে ফিরতে হচ্ছে খালি হাতে।
ঈশ্বরদীর জংশন স্টেশনের ষাটোর্ধ্ব বয়সের পান দোকানি আমিন উদ্দিন বাংলানিউজকে জানান, ঠাণ্ডায় হাত বরফের মত জমে যাচ্ছে। মাঘের শীত যদি পৌষে আসে তাহলে ক্যামন হয়। শীতের কারণে মানুষ দরকার ছাড়া বের হচ্ছেন না।
ঈশ্বরদী আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. হেলাল উদ্দিন বাংলানিউজকে জানান, উত্তরের বায়ুপ্রবাহের কারণে প্রচণ্ড ঠাণ্ডা পড়া শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার (৮ ডিসেম্বর) সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৭ দশমিক ০৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বুধবার ১৬ দশমিক ০৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। কয়েকদিনের মধ্যে তাপমাত্রা আরও কমে ঠাণ্ডা বাড়তে পারে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩২০, ডিসেম্বর ০৯, ২০২০
এমআরএ